অর্থনীতি

শেয়ার বাই ব্যাকের দাবি বিনিয়োগকারীদের

ইস্যু মূল্যের নিচে নেমে যাওয়া কোম্পানিগুলোর শেয়ার সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোকে কিনে নিতে বাধ্য করার দাবি জানিয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। এ জন্য শেয়ার বাই ব্যাক আইন করার দাবি জানান তারা।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে এ দাবি জানানো হয়।

টানা দরপতনের প্রতিবাদে বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নামার মধ্যেই গত মঙ্গলবার শেয়ারবাজারে এস্কয়ার নিট কম্পোজিটের শেয়ার লেনদেন শুরু হয়। লেনদেনের দ্বিতীয় দিন কোম্পানিটির শেয়ার কাট অফ প্রাইজের নিচে চলে আসে।

আর বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে তা আরও কমে প্রায় ইস্যু মূল্যের কাছে চলে এসেছে। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে থেকে প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে ৩০ টাকা প্রিমিয়াম নেয়া কোম্পানিটির শেয়ার দাম দাঁড়িয়েছে ৪২ টাকা ৯০ পয়সা।

Advertisement

অর্থাৎ মাত্র তিন কর্যদিবসেই কোম্পানিটির শেয়ার দাম ইস্যু মূল্য থেকে মাত্র দুই টাকা বেশি রয়েছে। উচ্চ প্রিমিয়াম নিয়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটির শেয়ার দামের এমন বেহাল দশার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে বাই ব্যাক আইনের দাবি আসলো।

এর আগে উচ্চ প্রিমিয়াম নিয়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া বসুন্ধরা পেপার, আমান কটন ফাইবার্স, ফারইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডায়িং, অ্যাপোলো ইস্পাত, ওরিয়ন ফার্মা, আরগন ডেনিমস ও হামিদ ফেব্রিক্স লিমিটেডের শেয়ার দাম ইস্যু মূল্যের নিচে নেমে যায়।

এর আগে ২০১০ সালে শেয়ারবাজারে ভয়াবহ ধসের প্রেক্ষিতে আলোচনায় আসে বাই ব্যাক আইন। ২০১১ সালে বিষয়টি নিয়ে বেশ তোড়জোড় শুরু হয়। তবে শেষ পর্যন্ত আইনটি আলোর মুখ দেখেনি।

সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে বলা হয়, যেসব কোম্পানির শেয়ার ইস্যু মূল্যের নিচে নেমে গেছে, সেসব কোম্পানিকে তাদের শেয়ার বাই ব্যাক করতে বধ্য করতে হবে। এ জন্য বাই ব্যাক আইন করতে হবে।

Advertisement

এ সময় বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজান-উর-রশিদ বলেন, শেয়ারবাজারকে তার অভীষ্ট লক্ষ্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান হিসেবে খায়রুল হোসেনকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সেই দায়িত্বের অবহেলা করে নিজের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য ইস্যুয়ার কোম্পানির দালালি করছেন। যার প্রভাবে পুরো বাজার আজ ধ্বংসের মুখে।

তিনি বলেন, আমার শুনেছি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গতকাল রাতে সাক্ষাৎ করেছেন বিএসইসির চেয়ারম্যান। আশা করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী বাজার ঠিক করতে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রতারণা করা চলবে না। প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হলে অবশ্যই শেয়ারবাজারকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেয়ে আনতে হবে।

এ সময় বাজারের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) ও প্লেসমেন্ট শেয়ারের অবৈধ বাণিজ্য বন্ধের জন্য বিএসইসির কাছে আহ্বান জানান মিজান-উর-রশিদ।

এমএএস/এএইচ/এমকেএইচ