খেলাধুলা

কলপাক নয়, দেশের হয়েই খেলবেন রাবাদা

সাম্প্রতিক সময়ে কলপাক চুক্তিতে দক্ষিণ আফ্রিকার অনেক ক্রিকেটার দেশের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নাম লিখিয়েছেন ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেটে। মূলত অর্থনৈতিকভাবে নিরাপদ জীবন এবং নিয়মিত খেলার সুবিধা পেতেই কলপাকে নাম লেখান ক্রিকেটাররা।

Advertisement

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ডানহাতি পেসার ডোয়াইন অলিভার কলপাক চুক্তিতে গেছেন ইয়র্কশায়ারে, তিন বছরের চুক্তিতে। তার আগে ২০১৮ সালে কলপাক চুক্তিতে সারে আর কেন্টের হয়ে নাম লিখিয়েছেন মরনে মরকেল আর হেইনো কান।

তারও আগে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকা হারায় জাতীয় দলের দুই নির্ভরযোগ্য সদস্য-পেসার কাইল অ্যাবট আর ব্যাটসম্যান রিলি রুশোকে। তারা দুজনই চলে যান হ্যাম্পশায়ারে। ২০১৬ সালে এই যাত্রায় দেশকে অগ্রাহ্য করেছিলেন স্টিয়ান ফন জিল, সিমন হার্মার, হার্দিস ভিলজনের মতো ক্রিকেটাররা।

কলপাকের এ মরনথাবা যদি বর্তমান দক্ষিণ আফ্রিকা দলের তারকা পেসার কাগিসো রাবাদার দিকে হাত বাড়ায়, তখন তিনিও কি চলে যাবেন দেশের ক্রিকেট ছেড়ে কাউন্টিতে? এমন প্রশ্নের জবাবে সাফ না করে দিয়েছেন ২৩ বছর বয়সী তরুণ রাবাদা।

Advertisement

কলপাকের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘কলপাক খুবই স্পর্শকাতর ইস্যু। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি যে কেউ তার নিজের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার রাখে। তবে আমার জন্য দেশের হয়ে ক্রিকেট খেলাটাই বড় বিষয়। এবং এটিকেই আমি নিজের সেরাটা দেয়ার সবচেয়ে ভালো সুযোগ হিসেবে মনে করি।

দীর্ঘ এই সাক্ষাৎকারে রাবাদা আরও জানান, মূলত ইয়র্কার শেখানোর জন্য তার কোনো বিশেষ কোচ নেই। তিনি নিজেই অনুশীলন করে শেখেন। এমনকি আদর্শ হিসেবে বেঁছে নেননি অন্য কোন ক্রিকেটারকেও। তিনি বলেন, ‘আমি যখন বেড়ে উঠি তখন আমি কারো ইয়র্কার দেখিনি। আমি এই বিষয়টি নিজে নিজে রপ্ত করেছি। আমি এই ব্যাপারে কারো কাছ থেকেই অনুপ্রাণিত হইনি। আমি শুধু বুঝতাম ইয়র্কার বল করতে ভালো লাগছে।’

এসএএস/জেআইএম

Advertisement