মহানগরীর বায়ু ও পরিবেশ দূষণের জন্য কারা দায়ী এবং তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী এক মাসের মধ্যে তা আদালতকে জানাতে পরিবেশ অধিদফতর ও ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
Advertisement
একইসঙ্গে বায়ু দুষণকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য পরিবেশ অধিদফতরে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিতে সরকারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠনের করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার (১০ এপ্রিল) হাইকোর্ট বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
Advertisement
গত ২৮ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বায়ু দূষণ রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, ঢাকার যেসব এলাকায় উন্নয়ন ও সংস্কার কাজ চলছে সেসব এলাকা (কাজের স্থান) ঘেরাও করে কাজ করা এবং উন্নয়ন ও সংস্কার কাজের কারণে ধুলাবালি প্রবণ এলাকায় দিনে দুইবার পানি ছিটানো নির্দেশনা দেয়া হয়। ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও নির্বাহী বিভাগের তত্ত্বাবধানে এ নির্দেশনা পালন করতে বলেন হাইকোর্ট।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ক্ষেত্রে আদালতের আদেশ কতটুকু প্রতিপালন হয়েছে, সে বিষয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে সংস্কার কাজের স্থান ঘেরাও করে কাজ করার বিষয়ে আদেশ প্রতিপালন করে দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ও দুই সিটির নির্বাহী কর্মকর্তাদের এ নির্দেশ দেয়া হয়।
নির্দেশে পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রতিবেদন দাখিল করেন, যাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা, নোটিশ দেয়াসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা জানানো হয়। কিন্তু ওই প্রতিবেদন অসম্পূর্ণ থাকায় তাদেরকে নতুন করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকার বায়ু দূষণের মাত্রা কতো, তা জানিয়ে পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালকের পক্ষ থেকে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
এফএইচ/এমএসএইচ/জেআইএম
Advertisement