ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, দুনিয়ায় বড় সম্পদের নাম হচ্ছে তথ্য। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ নির্মাণে তথ্য অপরিহার্য। জাতিসংঘের বহুমাত্রিক অংশিদারদের প্লাটফর্ম ডব্লিউএসআইএস ফোরাম-১৯ এর চেয়ারম্যান হিসেবে জেনেভায় বুধবার এক টিভিতে সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
Advertisement
মন্ত্রী বলেন, বিশ্বে বৈষম্যহীনভাবে প্রযুক্তি রূপান্তরের জন্য ডব্লিউএসআইএস একটি গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্ম। সারা দুনিয়া এখন একটি গ্লোবাল ভিলেজ। বিশ্বে প্রতিটি দেশ, প্রতিটি মানুষ একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত। এটাই প্রযুক্তির সুফল। বৈষম্যহীন প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্ব গড়তে শিল্পোন্নত এবং ধনী দেশগুলোই নয়, অনুন্নত আর উন্নত দেশ সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ডব্লিউএসআইএসকে সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করতে হবে।
সংবাদকর্মীর বাংলাদেশ সক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ছিল একটি কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির দেশ। প্রথম তিনটি শিল্প বিপ্লবে বাংলাদেশ শরিক হতে পারেনি। ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বিপ্লব ঘোষণা করেন। গত ১০ বছরে ডিজিটাল বিপ্লব কৃষিনির্ভর অর্থনীতির বাংলাদেশকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সক্ষমতায় রূপান্তর করেছে। বাংলাদেশই পৃথিবীর প্রথম ডিজিটাল বিপ্লব ঘোষণাকারী দেশ। তারপর পৃথিবীর অনেক দেশ ডিজিটাল শিল্প বিপ্লব বা রিভিউলিশন ফোর পয়েন্ট জিরোর কথা বলছে। বিশ্বের প্রতিটি দেশ আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্যে আবর্তিত হওয়ায় একেক দেশের প্রেক্ষাপট একেক রকম। ফাইভজি, রোবটিক কিংবা আইওটিসহ আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি কোনো কোনো দেশের জন্য অসুবিধাজনক, আবার কারও জন্য বড় সুযোগ এবং কারও জন্য এটা একটা চ্যালেঞ্জ।
উল্লেখ্য, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনের জন্য ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে জেনেভায় ১৫০টির বেশি দেশের ১০০ জনেরও বেশি মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং উপমন্ত্রীসহ ৩ হাজারের বেশি প্রতিনিধির অংশগ্রহণে ’দ্যা সামিট অন দ্যা ইনফরমেশন সোসাইটি গত ৮ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে। চলবে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত। আইটিইউ, ইউনেস্কো, ইউএনডিপি এবং ইউএনসিটিএডি এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত জাতিসংঘের এ রকম বড় কোনো সামিটের চেয়ারম্যান হওয়ার ঘটনা দেশের ইতিহাসে এটিই প্রথম।
Advertisement
আরএম/জেডএ/জেআইএম