দেশজুড়ে

নুসরাতের গ্রামের বাড়িতেও কাঁদছেন সবাই

ফেনীর সোনাগাজীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির মৃত্যুর খবর শুনে তার গ্রামের বাড়িতেও সবাই কাঁদছেন। আত্মীয়-স্বজন যারা বাড়িতে রয়েছেন সবাই বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন।

Advertisement

রাফির বাড়িতে বৃদ্ধ দাদা মাওলানা মোশারফ হোসেন ছাড়াও রয়েছেন বিবি রহিমা খাতুন নামে তার ছোট ফুফু। রাফির মৃত্যুর খবর শুনে বৃদ্ধ দাদা মূর্ছা যাচ্ছেন।

রাফির দাদাও একজন হার্টের রোগী। তাকে প্রথমে ঘটনাটি জানানো হয়নি। প্রিয় নাতনির মৃত্যুর খবরে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন দাদা মোশারফ।

বাড়িটি গত কয়েকদিন সুনশান নীরবতার মধ্যে থাকলেও আজ প্রতিবেশীরা বাড়িতে এসে জড়ো হলে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

Advertisement

এদিকে রাফির বাড়িতে মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। রাফির মৃত্যুর খবরে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

এর আগে, বুধবার রাত ৯টা ৩০ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা মারা যান ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রের আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফি।

উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ নুসরাত জাহান রাফিকে নিজ কক্ষে নিয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে আটক করে পুলিশ। ওই ঘটনার পর থেকে তিনি কারাগারে। এ ঘটনায় রাফির মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন।

গত ৬ এপ্রিল (শনিবার) সকালে রাফি আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় যান। এ সময় মাদরাসার এক ছাত্রী তার বান্ধবী নিশাতকে ছাদের উপর কেউ মারধর করছে- এমন সংবাদ দিলে তিনি ওই বিল্ডিংয়ের চার তলায় যান।

Advertisement

সেখানে মুখোশ পরা চার-পাঁচজন তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। রাফি অস্বীকৃতি জানালে তারা তার গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।

রাশেদ হাসান/বিএ