প্রথমবারের মতো মহাবিশ্বের অস্তিত্ব ও প্রকৃতি বিষয়ক বহুল প্রচলিত ধারণা ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বরের ছবি তুলতে সক্ষম হয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। দূরবর্তী একটি গাল্যাক্সি থেকে ছবিটি তোলা হয়েছে বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
Advertisement
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মহাকাশ গবেষণা বিষয়ক সাময়িকী অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নালে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়েছে। আনুমানিক ৫০০ মিলিয়ন ট্রিলিয়ন কিলোমিটার দূরের সেই ব্ল্যাকহোলের ছবি তোলা হয়েছে বিশ্বব্যাপী আট টেলিস্কোপের মাধ্যমে।
বিবিসি বলছে, গ্যালাক্সিটি পৃথিবী থেকে চার হাজার কোটি কিলোমিটার দূরে অবিস্থিত। আর আয়তনে সেটি পৃথিবীর থেকে ৩০ লাখ গুণ বড়। বিজ্ঞানীরা এটিকে বর্ণনা করেছেন ‘মনস্টার’ বা দৈত্য হিসেবে।
এম৮৭ নামের একটি গ্যালাক্সিতে থাকা ব্ল্যাকহোল
Advertisement
এই ছবি তোলার জন্য পরীক্ষা চালানোর প্রস্তাব করেন নেদারল্যান্ডেসর র্যাডবোউড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হেইনো ফালকে। তিনি বিবিসিকে বলেন, ব্ল্যাকহোলটি এম৮৭ নামের একটি গ্যালাক্সিতে খুঁজে পাওয়া গেছে। তিনি জানান, ‘আমরা যেটা দেখতে পেয়েছি তাতে সেটি আমাদের পুরো সৌরজগতের চেয়েও বড়।’
তিনি আরও বলেন, ‘সূর্যের চেয়েও সাড়ে ছয়শ কোটি গুণ বেশি শক্তিধর এটি। আমরা ধারণা করছি, এটি সবচেয়ে ভারী ব্ল্যাকহোল। এটা আদতে একটা দৈত্য বা মনস্টার। মহাবিশ্বের কৃষ্ণগহ্বরের মধ্যে এটিই চ্যাম্পিয়ন।’
কৃষ্ণগহ্বর মহাবিশ্বের এমন একটি বস্তু যা এত ঘন সন্নিবিষ্ট বা অতি ক্ষুদ্র আয়তনে এর ভর এত বেশি যে এর মহাকর্ষীয় শক্তি কোন কিছুকেই তার ভিতর থেকে বের হতে দেয় না, এমনকি তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণ কিংবা আলোও নয়।
প্রকৃতপক্ষে এই স্থানে সাধারণ মহাকর্ষীয় বলের মান এত বেশি হয়ে যায় যে এটি মহাবিশ্বের অন্য সকল বলকে অতিক্রম করে। ফলে এ থেকে কোন কিছুই পালাতে পারে না। অষ্টাদশ শতাব্দীতে প্রথম তৎকালীন মহাকর্ষের ধারণার ভিত্তিতে কৃষ্ণ বিবরের অস্তিত্বের বিষয়টি উত্থাপিত হয়।
Advertisement
এসএ/এমএস