খেলাধুলা

মাশরাফিদের হারিয়ে সুপার লিগের পথে সোহানের শেখ জামাল

 

আবাহনীর লড়াই ছিল শীর্ষস্থান দখল করার। সে ক্ষেত্রে শর্ত ছিল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে হারতে হবে এবং তাদেরকে জিততে হবে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে। কিন্তু কোনো শর্তই শেষ পর্যন্ত পূরণ হলো না। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জও হারেনি, আবাহনী নিজেরাও হারাতে পারেনি শেখ জামালকে।

Advertisement

উল্টো মাশরাফি-মোসাদ্দেক-সৌম্যদের ক্লাব আবাহনী লিমিটেডকে হারিয়ে দিয়েছে নুরুল হাসান সোহানের শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। সাভারের বিকেএসপিতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে আকাশী-হলুদ শিবিরকে ৭ বল হাতে রেখেই ৩ উইকেটের ব্যবধানে পরাজিত করেছে ধানমন্ডির আরেক ক্লাব শেখ জামাল।

আবাহনী শীর্ষে উঠতে না পারলেও এই হারে খুব একটা ক্ষতিও হয়নি। কারণ, পয়েন্ট টেবিলের যা অবস্থান, তাতে লিগের প্রথম পর্বে তাদের দ্বিতীয় স্থান আর কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। তবে, আবাহনীকে হারিয়ে সুপার লিগে ওঠার পথে নিজেদের অনেকটা এগিয়ে রাখলো শেখ জামাল।

প্রথম পর্বের ১১ ম্যাচ শেষে তাদের পয়েন্ট ১২। রান রেট -০.০৫৭। তবে, সুপার লিগ তাদের নিশ্চিত হচ্ছে কি না তা দেখার জন্য মোহামেডান, গাজী এবং শাইনপুকুরের ম্যাচের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে নুরুল হাসান সোহানদের।

Advertisement

বিকেএসপিতে আবাহনীর ছুঁড়ে দেয়া ২১২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শেখ জামালকেও বেশ বেগ পেতে হয়েছে। জিততে কষ্টই করতে হলো সোহানের দলের। তবে ভারতের অনুস্তাপ মজুমদারের হাফ সেঞ্চুরি এবং নাসির হোসেনের দৃঢ়তাপূর্ণ ব্যাটিংই শেখ জামালের জয়ের ভিত গড়ে ওঠে। অনুস্তাপ ৮২ বলে খেলেন ৫৬ রানের ইনিংস এবং ৫৬ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন নাসির হোসেন।

শেষ দিকে জয়ের মূল কাজটি করেন তানবির হায়দার। সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৪৯ বলে ৩৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তানবির। তার সঙ্গী ছিলেন এনামুল হক জুনিয়র (২), ১৫ রানে। এই জুটির ৩৩ রানের জুটিই জয় এনে দেয় শেখ জামালকে।

এছাড়া ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেন করেন ৩০ রান। জিয়াউর রহমান করেছিলেন ১৬ রান। ৪৮.৫ ওভারেই ৭ উইকেট হারিয়ে শেখ জামালের রান গিয়ে পৌঁছায় ২১৫ রানে। আবাহনীর হয়ে সাইফুদ্দিন, সানজামুল ইসলাম এবং সৌম্য সরকার নেন ২টি করে উইকেট। ১ উইকেট নেন নাজমুল ইসলাম।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে দারুণ বিপদে পড়ে গিয়েছিল আবাহনী লিমিটেড। ১৪ রানেই তারা হারায় ৪ উইকেট। ৭৪ রানে পঞ্চম এবং ৮৮ রানে হারায় ৬ষ্ঠ উইকেট। এরই মধ্যে অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত খেলেন হার না মানা দুর্দান্ত এক ইনিংস। ১০১ রানে অপরাজিত থেকে আবাহনীর রানকে ২০০ পার করে দেন তিনি। শেষ পর্যন্ত লিগ জায়ান্টদের রান গিয়ে দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ২১১-তে।

Advertisement

নাসির হোসেন নেন ৩ উইকেট। ২ উইকেট নেন ইলিয়াস সানি, ১টি করে নেন সালাউদ্দিন শাকিল এবং জিয়াউর রহমান।

আইএইচএস/এমএস