সেন্সর বোর্ডে জমা পড়েছে শাকিব খান ও ববি অভিনীত বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘নোলক’। সিনেমাটির প্রযোজক ও পরিচালকের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে ছবিটি আলোর মুখ দেখছে না। এই দ্বন্দ্বের সমাধান হলেই ছবিটি সেন্সরে প্রদর্শন করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সচিব মোহাম্মদ মুমিনুল হক।
Advertisement
তিনি বলেন, “গত সপ্তাহে ‘নোলক’ সিনেমাটি সেন্সর বোর্ডে জমা পড়েছে। এর আগেই ছবির পরিচালক দাবি করেন রাশেদ রাহা একটি চিঠি দিয়েছেন। পরিচালক সমিতি থেকেও একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে আমাদের কাছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য সিনেমাটির প্রযোজককে জানানো হয়েছে। আমরা সমাধানের অপেক্ষায় আছি। এতে কোনো সমাধান না হলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করব। তারপর সিদ্ধান্ত নেবো।’
এক বছর ধরে ‘নোলক’ সিনেমার পরিচালক পরিবর্তন নিয়ে জটিলতা চলছে। চলচ্চিত্রের সংগঠনগুলো দফায় দফায় মিটিং করলেও এর সমাধান হয়নি। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। কে হচ্ছেন ‘নোলক’ সিনেমার পরিচালক? পরিচালক রাশেদ রাহা দাবি করেছেন ‘নোলক’ সিনেমার পরিচালক তিনি। ইতোমধ্যে এ দাবি করে বাংলাদেশ সেন্সর বোর্ডে চিঠি পাঠান তিনি।
বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব বদিউল আলম খোকন বলেন, ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতি ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি বিষয়টি সমাধানের জন্য এগিয়ে আসে। পরিচালক ও প্রযোজককে ডেকে একটি প্রাথমিক সিদ্ধান্তও হয়। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে কাউকে কিছু না জানিয়ে গোপনে সিনেমাটি জমা দেওয়া মোটেও ঠিক হয়নি। এতে দুই সমিতির নেতাদের অবজ্ঞা করা হয়েছে।’
Advertisement
২০১৭ সালের ১ ডিসেম্বর ভারতের হায়দরাবাদে ‘নোলক’ সিনেমার শুটিং শুরু হয়। এতে অভিনয় করেছেন শাকিব খান, ববি, মৌসুমী, ওমর সানী, তারিক আনাম খান, নিমা রহমান, রেবেকা, ভারতের রজতাভ দত্ত, সুপ্রিয় দত্ত, অমিতাভ ভট্টাচার্য প্রমুখ।
দুই বছর আগে জমকালো আয়োজনে ঢাকার একটি হোটেলে সিনেমাটির মহরত অনুষ্ঠিত হয়। এরপর টানা ২৮ দিন ভারতের হায়দরাবাদে ‘নোলক’ সিনেমার শুটিং করেন পরিচালক রাশেদ রাহা। শুটিং শেষে ইউনিট নিয়ে দেশে ফেরার পর পরিচালকের সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হয় প্রযোজকের। এরই জেরে পরের লট থেকে প্রযোজক সাকিব ইরতেজা পরিচালক রাশেদ রাহাকে ছাড়াই শুটিং শুরু করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টাপাল্টি অভিযোগে অনেক সময় পার হয়।
শুরুতে পরিচালক ও প্রযোজক সমিতিতে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেন পরিচালক রাশেদ রাহা। অভিযোগের পর চলচ্চিত্রের দুই সমিতি একত্র হয়ে পরিচালক ও প্রযোজককে ডেকে পাঠান।
মৌখিকভাবে পরিচালককে দিয়ে সিনেমার কাজ শেষ করার সিদ্ধান্ত হলেও তা মানেননি প্রযোজক। তিনি সাকিব সনেট অ্যান্ড টিমের নামে সিনেমার কাজ শেষ করার উদ্যোগ নেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে রাশেদ রাহা তার সিনেমার পরিচালকের মালিকানা ফিরে পেতে আইনের আশ্রয় নেন। ঢাকার তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় জিডি করেন তিনি। পরিচালকের সেই জিডির পর সিনেমার মালিকানার বিষয়টি সুরাহার জন্য ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
Advertisement
এমএবি/এলএ/পিআর