হঠাৎ ফেসবুক লাইভে এসে কান্না করছিলেন ছাত্রলীগের এক নেত্রী। তার কান্নার ভিডিওটি এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। এ নেত্রীর নাম ফাতেমাতুজ জুহরা। তিনি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক। কিন্তু ঠিক কী কারণে তিনি কান্না করছিলেন?
Advertisement
জানা গেল তার সেই ভিডিও থেকেই। ওই লাইভের ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘অনেক কষ্টের পর কান্না করছি। আমি ছাত্রলীগ কর্মী হিসেবে এমপি সাহেবের প্রোগ্রামে যাবার অধিকার আছে আমার। সেটা রাজনৈতিক বা যেকোনো প্রোগ্রাম হোক। শিক্ষকদের নিয়ে একটা প্রোগ্রাম ছিল এমপি সাহেবের। সেই প্রোগামে স্টেজে রাজনৈতিক লোক ছিল। উপজেলা ছাত্রলীগ, পৌর ছাত্রলীগ ছিল। সঙ্গে আমিও। থাকতেই পারি। যদি ছাত্রলীগের কেউ না থাকতো তাহলে একটা কথা ছিল যে, আমি কেন গেছি? এমপি মহোদয়ের প্রোগ্রামে ছাত্রলীগকে দাওয়াত দিতে হয় না, ছাত্রলীগ এমনি যেতে পারে। কাউকে স্টেজ থেকে না নামিয়ে আমাকে কেন নামিয়ে দেয়া হইছে?’
তিনি আরও লিখেন, ‘আল্লাহ আমারে ধৈর্য ধরার শক্তি দিন। আমার উপজেলায় ছাত্রলীগের কিছু ভাই ফেসবুকে পোস্ট করে এবং কমেন্টে আমায় বাজে গালি দিচ্ছে, যা বলার ভাষা নেই, এমনকি হুমকি দিচ্ছে। অনেকে বলছে, এসব সাজানো নাটক আমায় কেউ শিখিয়ে দিচ্ছে আড়াল থেকে। কেউ কিছু শিখিয়ে দেয়নি। মা আমাকে সান্ত্বনা দিছে। মা কথা বলছে পাশ থেকে। হয়ত কান্নার জন্য ভালো করে কথাও বলতে পারিনি। পদ পাবার জন্য নাটক করতে হবে কেন আমায়? আমি কি ঘরে বসে রাজনীতি করি নাকি? আজ আমি নারী বলে অবহেলিত, অসম্মানিত। আমি আমার নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দেখে রাজনীতি করার উৎসাহ পাইছি।’
গত ৬ এপ্রিল ফেসবুক লাইভ এসে কান্নাকাটি করেন ফাতেমা। শনিবার উপজেলা শিক্ষক সমিতির অনুষ্ঠান ছিল। ফেসবুক লাইভে এসে রিপার কান্নাকাটিকে নিছক পাগলামী বলে মন্তব্য করেছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুল হাসান ফয়সাল। তিনি বলেন, ‘এটা পাগলামী। কারণ, এটা ছিল শিক্ষকদের প্রোগ্রাম। অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে অত্র আসনের এমপি ড. আনোয়ার হোসেন খান শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও দলের সিনিয়র নেতাদের উপস্থিতি ছাড়া সবাইকে স্টেজ থেকে নেমে যেতে বলেন। আমরাও সবাই স্টেজ থেকে নেমে গেছি। কিন্তু ফাতেমা রিপা না নামায় বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।’
Advertisement
জেডএ/জেআইএম