ইউজিসি কর্তৃক বৈধ উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে আমরণ অনশনে বসা গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থী অনশন ভেঙেছেন।
Advertisement
মঙ্গলবার রাত ৯টা ১৮ মিনিটে জুস খাইয়ে তাদের অনশন ভাঙান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. দেলোয়ার হোসেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরে শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে আসেন গণবিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. দেলোয়ার হোসেন, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক করম নেওয়াজ, ইংরেজি বিভাগের প্রধান ড. আমজাদ হোসেন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর মুর্ত্তজা আলী বাবু, সহকারী রেজিস্ট্রার আবু মুহাম্মদ মুক্কামেল প্রমুখ।
অনশন ভাঙাতে এসে রেজিস্ট্রার বলেন, তোমাদের দাবি মতো ট্রাস্টি বোর্ডের সঙ্গে আলোচনায় বসার ব্যবস্থা করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তোমরা অনশন ভাঙো।
Advertisement
এ সময় উপস্থিত আরও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী তাদের দাবিগুলো জোরালোভাবে উপস্থাপন করেন এবং অতি দ্রুত সবকিছু সমাধানের দাবি জানান।
এ প্রসঙ্গে সাধারণ ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা শেখ রনি জানান, আমরা সাময়িকভাবে আমাদের অনশন কর্মসূচি স্থগিত করেছি। তবে আমাদের অবস্থান কর্মসূচি চলবে। আমরা প্রশাসনকে আমাদের ৬টি দাবি জানিয়েছি। প্রশাসন আমাদের সঙ্গে আগামী বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বসার ব্যবস্থা করবে। ট্রাস্টি বোর্ডের সভায় যদি আমরা আমাদের ন্যায্য দাবি না পাই এবং তারা কোনো সিদ্ধান্ত আমাদের ওপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন, তাহলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হব।
অনশনকারীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ট্রাস্টি বোর্ডের সঙ্গে তাদের আলোচনার ব্যবস্থা করা হবে এবং সেই আলোচনা সভায় দুজন ছাত্রী এবং চারজন ছাত্র মিলে মোট ছয়জনের অংশগ্রহণ করার ব্যবস্থা করা হবে।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক বৈধ উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অনশনে বসেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া গত ৬ এপ্রিল থেকে এ দাবিতে আন্দোলন করে আসছে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
Advertisement
জেডএ/জেআইএম