৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সব কমিটি সম্পন্ন করতে হবে। কেন্দ্র থেকে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে কাজ করে চলছে খুলনা বিএনপি। ৪০টি সভার মধ্য ইতোমধ্যে পাঁচটি সভাও সম্পন্ন হয়েছে। তবে নানা অজুহাতে পুনর্গঠনের নামে সম্মেলনের চেয়ে সমঝোতার ভিত্তিতে কমিটি গঠনের দিকে বেশি ঝুঁকেছেন খুলনার শীর্ষ নেতারা। শীর্ষ নেতাদের এই সমঝোতার প্রক্রিয়াকে কোনোভাবেই মানতে নারাজ তরুণ ও উদীয়মান নেতারা। তারা বলছেন, সমঝোতা হলে অচল নেতারাও কমিটিতে চলে আসবেন, আর তাতে করে দলের গতিশীলতা আরো কমে যাবে। সবকিছুকে ছাপিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদকের পদটির বিষয়। আগামীতে গুরুত্বপূর্ণ এ পদে কে আসছেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা কল্পনা।সূত্র জানায়, ২০১০ নগর ও জেলা বিএনপির কমিটি গঠন হয়। এরপর সে কমিটির মেয়াদ তিন বছর আগে শেষ হলেও নতুন করে কমিটি গঠণ করা সম্ভব হয়নি। ফলে মূল দলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোতে অনেকটা স্থবিরতা দেখা দেয়। এরই মধ্য গত ১২ আগস্ট কেন্দ্র থেকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব কমিটি গঠন করতে হবে। চিঠি প্রাপ্তির পর নগর ও জেলা বিএনপির নেতারা আগামীতে করণীয় নির্ধারণের জন্য কয়েকটি সভা করেন। এরপর পর্যায়ক্রমে শুরু হয়েছে থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের কমিটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করা। ইতোমধ্যে মহানগরের পাঁচ থানায় বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ১ সেন্টেম্বর থেকে ওয়ার্ড পর্যায়ে বৈঠক শুরু হবে। সময় স্বল্পতার কারণে একদিনে কয়েকটি ওয়ার্ডের বৈঠক সম্পন্ন করা হবে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।নগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, সরকার কখনোই চায় না বিএনপি ভালো থাকুক। তারা যেকোনো উপায়ে সম্মেলনকে বাঁধাগ্রস্থ করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, আমরা আমাদের সম্মেলনের জন্য মৌখিকভাবে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নিবাস চন্দ্র মাঝির কাছে গিয়েছিলাম। তিনি বলেছেন, ঢাকা থেকে যে দিক নির্দেশনা দেয়া হবে কেএমপিও সেভাবেই চলবে। ফখরুল আলম আরো বলেন, বর্তমানে নগর বিএনপির কমিটির অনেক নেতাই নিষ্ক্রিয় হয়ে আছেন। এখন বিএনপির দরকার এমন নেতার যারা দলকে আরো বেশি গতিশীল করতে পারবে। তবে সম্মেলন করতে সরকার যদি বাঁধা দেয় তাহলে সমঝোতার দিকেই এগিয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে।নগর সাংগঠনিক সম্পাদক আরো বলেন, বিএনপির অনেক নেতাকর্মী জেলে রয়েছেন। তাদেরকে মুক্ত করে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠণেরও চেষ্টা চলছে।আলমগীর হান্নান/এমজেড/এমএস
Advertisement