জাতীয়

মোবাইলের বদলে সাবান, ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যা বলল দারাজ

অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম দারাজের মাধ্যমে মোবাইল কিনে প্রতারণার শিকার হয়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার ভাকুড়া গ্রামের আমজাদ হোসেন লিটন। গত ৬ এপ্রিল তিনি জেলা শহরের সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস দারাজ থেকে পাঠানো মোবাইল ফোন নিতে গিয়ে প্যাকেট খুলে দেখেন ফোনের বাক্সে তিনটি কাপড় কাচা হুইল সাবান। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিবৃতি দিয়েছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটি।

Advertisement

আজ মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানটির পিআর, মিডিয়া ও কমিউনিকেশন বিভাগের প্রধান শায়ন্তনী তিশার পাঠানো এক বিবৃতি জানানো হয়, গ্রাহক গতকাল রাতেই (৮ এপ্রিল) মূল অর্ডারকৃত পণ্য দারাজের পক্ষ থেকে বুঝে পান। অর্থাৎ, পণ্য নিয়ে অভিযোগের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই কাস্টমার তার সমাধান পান। এ বিষয়ে কাস্টমারের বিবৃতি খুব শিগগিরই আমরা আপনাদের কাছে পাঠাব।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেড শুরু থেকেই অত্যন্ত সততা, নিষ্ঠা ও সচেতনতার সঙ্গে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। গত শনিবার (৬ এপ্রিল) ঘটে যাওয়া ঘটনাটি, যেখানে অর্ডার নং #৬০১২১৪৬০৫২৯০০৭৭ এর পরিপ্রেক্ষিতে কাস্টমারকে তার অর্ডারকৃত পণ্য স্যামসাং গ্যালাক্সি ৮ এস প্লাস মোবাইল ফোনের বদলে ৩টি হুইল সাবান ডেলিভারি দেয়া হয়েছে, তা সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত ও দারাজের নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত।

জনৈক সম্মানিত কাস্টমারের নিকট থেকে অর্ডারটি পাওয়ার পর দারাজের ওয়্যারহাউজ থেকে মোবাইল ফোনটি যথাযথভাবে প্যাকেজিংপূর্বক প্রস্তুত করে রাখা হয়। কাস্টমারের নিকট পণ্য ডেলিভারির জন্য আমাদের প্রতিনিয়তই বিভিন্ন তৃতীয়পক্ষ ডেলিভারি সার্ভিসের দ্বারস্থ হতে হয়। একইভাবে ৬ এপ্রিল ঘটনাটির অর্ডারকৃত পণ্যটিও যথাযথভাবে প্যাকেজিংপূর্বক একটি স্বনামধন্য তৃতীয়পক্ষ কুরিয়ার সার্ভিসকে বুঝিয়ে দেয়া হয়। এ-সংক্রান্ত সকল সিসিটিভি ফুটেজ বর্তমানে আমাদের নিকট সংরক্ষিত রয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক ও লজ্জাজনক ব্যাপার এই যে, তৃতীয়পক্ষ কুরিয়ার সার্ভিসে যেই কর্মচারিকে পার্সেলটি দেয়া হয়েছিল, তিনি পার্সেল থেকে ওই নির্দিষ্ট মোবাইল ফোনটি সরিয়ে সেখানে ৩টি হুইল সাবান বক্সে ভরে গ্রাহককে ডেলিভারি দেন।

Advertisement

এই ঘটনাটি সমন্ধে অবগত হওয়ার পর দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেড কাস্টমারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। কাস্টমারকে অনতিবিলম্বে সঠিক পণ্যটি ডেলিভারি দেয়া হবে বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে। সম্মানিত কাস্টমার আমাদের দ্রুত ও কার্যকরী পদক্ষেপে সন্তুষ্ট হয়েছেন।

দারাজ বলছে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে এসব তৃতীয়পক্ষ কুরিয়ার সার্ভিসের ওপর সম্পূর্ণ নজরদারি রাখা কার্যত অসম্ভব। প্রকৃতপক্ষে এ রকম একটি নৈতিক অবক্ষয়জনিত কাজের জন্য তিনিই ব্যক্তিগতভাবে দায়ী, যিনি এই কাজটি করেছেন। আমরা দোষী ব্যক্তির শাস্তির জন্য থার্ড পার্টি কুরিয়ার প্রতিষ্ঠানটি ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। এ ব্যাপারে খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

‘সঠিক, গুণগত ও মানসম্মত পণ্য কাস্টমারের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেড সর্বদা বদ্ধপরিকর। দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেড নিরলস চেষ্টার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত গ্রাহক সেবার মান উন্নত করে যাচ্ছে, এ ব্যাপারে দারাজ তার সম্মানিত কাস্টমারদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা কামনা করছে।’

বিবৃতির সঙ্গে দারাজ তাদের ওয়্যারহাউজের একটি সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ সংযুক্ত করেছে। একই সঙ্গে অর্ডার প্রসেসিং সফটওয়্যারের একটি স্ক্রিনশট দেয়া হয়েছে। যেখানে প্রডাক্ট প্যাকিংয়ের সঙ্গে সময়ের মিল দেখা যাচ্ছে।

Advertisement

সম্প্রতি একইরকম ভুক্তভোগী হয়েছেন লক্ষ্মীপুরের পিয়াস সরকার। তিনি ‘স্মার্ট শপ ঢাকা’ নামে একটি অনলাইন শপে ঘড়ি অর্ডার করেন। এজন্য পরিশোধ করেন এক হাজার ৮০০ টাকা। তিনি প্যাকেট খুলে দেখেন সেখানে ঘড়ির বদলে দুটি পেঁয়াজ।

এআর/এসআর/এমকেএইচ