রাজধানীর বনানীতে এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ভবনের বর্ধিত অংশের মালিক তাসভির উল ইসলাম ও জমির মালিক প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুক রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। সেই তথ্যানুযায়ী কাজ করছেন তদন্ত সংস্থা ডিবি পুলিশ।
Advertisement
মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক জালাল উদ্দিন সোমবার (৮ এপ্রিল) জাগো নিউজের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সাতদিনের রিমান্ডে তাসভির উল ইসলাম ও এস এম এইচ আই ফারুক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তথ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে- ভবনের নকশা, ফায়ার সার্ভিসের চিঠি, মালিকদের চুক্তি, রূপায়নের সাথে চুক্তি ও রাজউক অনুমোদনের কাগজ।
তিনি আরও বলেন, আমরা (ডিবি পুলিশ) এগুলো নিয়ে এখন কাজ করছি। তাদের দেয়া তথ্যানুযায়ী কারো কোনো গাফিলতি পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
সাতদিনের রিমান্ড শেষে আজ (সোমবার) তাদের দুইজনকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক জালাল উদ্দিন তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অপরদিকে আসামিদের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
Advertisement
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সেই সঙ্গে আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কারাবিধি অনুযায়ী তাদের চিকিৎসার নির্দেশ দেন।
গত ৩১ মার্চ তাসভির উল ইসলাম ও প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুকের সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তার আগে ৩০ মার্চ বারিধারার নিজ বাসা থেকে বিএনপি নেতা তাসভির উল ইসলাম এবং বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে ভবনের জমির মালিক প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুককে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২৮ মার্চ বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ের পাশের ১৭ নম্বর সড়কে ফারুক রূপায়ন (এফআর) টাওয়ারের ভয়াবহ আগুনে ঘটনাস্থলে ২৫ জন ও হাসপাতালে একজন নিহত হন। আহত হয়েছেন ৭৩ জন। পরে ৩০ মার্চ এফআর টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মিল্টন দত্ত বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে পরস্পর জোগসাজশে মানুষের জানমালের ক্ষতি, অবহেলা ও তাচ্ছিল্যপূর্ণ কার্যকলাপের ফলে অপরাধজনক অগ্নিকাণ্ডে মানুষের প্রাণহানি, মারাত্মক জখমসহ সম্পদের ক্ষতিসাধন করে।
Advertisement
মামলার আসামিরা হলেন- ভবনের বর্ধিত অংশের মালিক তাসভির উল ইসলাম, জমির মালিক প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুক ও রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান। এছাড়া এফআর টাওয়ারের ব্যবস্থাপনা কমিটির নেতাসহ অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
জেএ/আরএস/এমএস