কাশ্মীরের বাসিন্দাদের জন্য বিশেষ অধিকারের ব্যবস্থা হিসেবে কয়েক দশক আগে প্রণীত একটি আইন বাতিল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারতের ক্ষমতাসীন কট্টর হিন্দুত্ববাদী দল হিসেবে পরিচত ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। সোমবার লোকসভা নির্বাচন নিয়ে দলটির প্রকাশিত ইশতেহারে এই প্রতিশ্রুতির উল্লেখ আছে।
Advertisement
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বহুদিন ধরেই কাশ্মীরের এই বিশেষ অধিকার আইন বাতিলের পক্ষে কথা বলে আসছেন। সেই আইন অনুযায়ী, কাশ্মীরের বাসিন্দারা ছাড়া ভারতের অন্য রাজ্যের কেউ সেখানে সম্পত্তি ক্রয় করতে পারেন না। এমন আইনের মাধ্যমে দেশের অন্য নাগরিকদের অধিকার বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে দাবি মোদির।
সোমবার কট্টর হিন্দুত্ববাদী দলটির প্রকাশিত নির্বাচনী ইশতাহারে এই আইন বাতিলের অঙ্গিকার করা হয়েছে। ইশতেহারে বলা হচ্ছে, ‘আমরা বিশ্বাস করি সংবিধানের ৩৫এ অনুচ্ছেদ রাজ্যটির উন্নয়নে একটি বড় বাধা হিসেবে কাজ করে।’ ১৯৫৪ সালে ভারতের সংবিধান সংশোধন করে ওই অনুচ্ছেদটি যুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন>> জাতীয়তাবাদের সুর বিজেপির ইশতেহারে, প্রতিশ্রুতির ফুলঝুড়ি
Advertisement
রাজধানী নয়াদিল্লিতে ৭৫টি অঙ্গিকার সম্বলিত বিজেপির নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করা হয়। ইশতেহার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মোদি ও দলের সভাপতি অমিত শাহ। মোদি এসময় বলেন, ‘জাতীয়তাবাদ আমাদের অনুপ্রেরণা।’
ভারতের বিতর্কিত ও মুসলিম প্রধান রাজ্য কাশ্মীরের বিজেপির এমন নির্বাচনী অঙ্গিকার নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নেতারা। তারা মোদিকে সতর্ক করে বলেছেন, আইনটি বাতিলের এই সিদ্ধান্ত কাশ্মীরজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি করবে। যা সহিংসতাকে আরও উসকে দিতে পারে।
আরও পড়ুন>> ৩২ বার হেরেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী তিনি!
জাতীয় নিরাপত্তার কথা তুলে তা বিজেপির নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যবহার করে মোদি জেতার চেষ্টা করছেন। সম্প্রতি কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে নতুন করে যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে তাকেই বিজেপির নির্বাচনী অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছেন মোদি। তিনি বিভিন্ন জনসভায় পাকিস্তানে ভারতীয় বিমানবাহিনীর হামলার সফলতার কথাও বলছেন।
Advertisement
জম্মু ও কাশ্মীরে স্বাধীনতার দাবি ও ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ চলছে। নয়াদিল্লি এমন পরিস্থিতি বিদ্রোহ দমনের চেষ্টা হিসেবে ব্যাপক সামরিক সদস্য মোতায়েন করেছে রাজ্যটিতে। আগামী ১১ এপ্রিল লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ শুরু হবে।
এসএ/পিআর