ফুটবল ইতিহাসে আত্মঘাতি গোলের ইতিহাস আছে। প্রায়ই আত্মঘাতি গোল খেয়ে বসে অনেক দল। সর্বশেষ রাশিয়া বিশ্বকাপে আত্মঘাতি গোলের রেকর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আত্মঘাতি গোলের ঠিক উল্টোটা কি কখনও দেখেছে ফুটবল বিশ্ব? ফুটবল ইতিহাসে এমন ঘটনাও সম্ভবত কখনও কোথাও দেখা যায়নি।
Advertisement
অনেকেই হয়তো ঠিক বুঝে উঠতে পারছেন না, আত্মঘাতি গোলের বিপরীত অবস্থাটা ঠিক কি? মূলতঃ কোনো দলের কোনো ফুটবলার যদি গোল করার জন্য বলকে একেবারে জালের মুখে পাঠিয়ে দেন, হয়তো কয়েক মিলি সেকেন্ডের ব্যবধানে সেই বলটি জালে প্রবেশ করবে, সামনে বাধা দেয়ার মত কেউ নেই..., এমন মুহূর্তে যদি সেই ফুটবলারেরই অন্য কোনো সতীর্থ এসে বলটি ঠিক লাইনের ওপর থামিয়ে দেন এবং সেটা গোল না হয়, তাহলে তাকে কি বলা হবে?
তেমনই ঘটনা ঘটেছে রোববার রাতে স্ট্রসবার্গের বিপক্ষে পিএসজির ফুটবলার এরিক ম্যাক্সিম চৌপো মোটিং এমনই এক অবিশ্বাস্য ঘটনার জন্ম দিয়েছেন। যা নিয়ে এখন ফুটবল দুনিয়ায় চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা।
সবারই একটি কথা, ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে মিসের ঘটনার জন্ম দিলেন এরিক ম্যাক্সিম। যে কারণে, স্ট্রসবার্গের বিপক্ষে জয় নিয়ে ফিরতে পারেনি পিএসজি (২-২ ড্র) এবং লিগ ওয়ানের আগাম শিরোপা উল্লাসেও মেতে উঠতে পারেনি তারা।
Advertisement
নিজেদের মাঠে স্ট্রসবার্গের বিপক্ষে খেলা চলছিল তখন। এর আগে এরিক ম্যাক্সিমের গোলেই এগিয়ে গিয়েছিল পিএসজি। কিন্তু নুনো দ্য কস্তার গোলে সমতায় ফেরে স্ট্রসবার্গ। এরপর অ্যান্থোনি গনকালেভস এগিয়ে দেন স্ট্রসবার্গকে। সমতায় ফেরার জন্য যখন মরিয়া হয়ে উঠছিল পিএসজি, তখনই ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে মিসের ঘটনার জন্ম দেন ম্যাক্সিম।
পিএসজির স্ট্রাইকার ক্রিস্টোফার এনকোকু এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বলটা আলতো করে তুলে দেন স্ট্রসবাগের গোলরক্ষক ম্যাটজ সেলসের মাথার ওপর দিয়ে। পোস্টের সামনে আর কেউ নেই। বলটা বাঁচাতে দৌড়ে এগিয়ে আসেন স্ট্রসবার্গের এক ডিফেন্ডার। বল ছিল সেই ডিফেন্ডারের নাগালের বাইরে। সঙ্গে দৌড়ে আসেন এরিক ম্যাক্সিমও।
কিন্তু পিএসজি ডিফেন্ডার বলের নাগালের বাইরে থাকলেও পা ছোঁয়াতে গিয়ে উল্টো প্রতিপক্ষের ডিফেন্সের কাজটি করে দেন ম্যাক্সিম। ঠিক লাইনের ওপর থেকে বলটা থামিয়ে দেন তিনি এবং বলটা পোস্টের সঙ্গে আলতো করে স্পর্শ লেগে সেখানেই থেমে থাকে। নিশ্চিত গোলটিই হলো না শেষ পর্যন্ত।
কাইলিয়ান এমবাপের পরিবর্তে এরিক ম্যাক্সিম চৌপো মোটিংকে মাঠে নামানো হয়েছিল। ম্যাচে দারুণ পারফরম্যান্সও দেখান তিনি। তবে ৬০ মিনিটের সময় তাকে তুলে নিয়ে এমবাপেকে মাঠে নামান কোচ। ম্যাচ শেষে ম্যাক্সিম বলেন, ‘এ জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।’
Advertisement
দেখুন সেই ঘটনার ভিডিও
আইএইচএস/পিআর