ফায়ার সার্ভিস কর্মী সোহেল রানার মৃত্যুতে গভীর শোকাহত ঢাকাস্থ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস পরিবার।
Advertisement
সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ সমবেদনা জানিয়েছে তারা।
ঢাকাস্থ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেসবুকে পেজে লেখা হয়, দমকলকর্মী সোহেল রানার মৃত্যুতে ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস পরিবার গভীরভাবে শোকাহত। ২৮ মার্চ বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিঃস্বার্থভাবে উদ্ধারকাজ করতে গিয়ে সোহেল মারাত্মকভাবে আহত হন, ওই ঘটনায় ২৬ জন নিহত এবং অনেকেই আহত হয়েছিলেন। আমরা সোহেলের পরিবার, বন্ধু এবং সহকর্মীদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।
গত ২৮ মার্চ বনানীর এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২৬ জন নিহত এবং ৭১ জন আহত হন। এদিন কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশনের ফায়ারম্যান সোহেল রানা উঁচু ল্যাডার (মই) দিয়ে আগুন নেভানো ও আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধারে কাজ করছিলেন। ভবনে আটকে পড়া ৪-৫ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে একসঙ্গে নিচে নামানোর সময় ল্যাডারটি ওভারলোড দেখাচ্ছিল। ওভারলোড হলে সাধারণত ল্যাডার নিচে নামে না, স্বয়ংক্রিয়ভাবে লক হয়ে যায়। ল্যাডারের ওজন কমাতে একপর্যায়ে সোহেল নিজেই ল্যাডার বেয়ে নিচে নামছিলেন। ল্যাডারের ওজন কমায় সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়। এতে তার একটি পা ল্যাডারের ভেতরে ঢুকে যায়। এছাড়া তার শরীরের সেফটি বেল্টটি ল্যাডারে আটকে পেটে প্রচণ্ড চাপ লাগে।
Advertisement
গত ৫ এপ্রিল সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল থেকে সিঙ্গাপুরে নেয়া হয় তাকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ২টা ১৭ মিনিট) মারা যান সোহেল রানা।
জেপি/জেএইচ/জেআইএম