জাতীয়

জীবন উৎসর্গ করে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন সোহেল

ফায়ার সার্ভিস কর্মী সোহেল রানার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেন, নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে সোহেল রানা স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

Advertisement

সোমবার এক শোকবার্তায় সোহেল রানার রুহের মাগফেরাত কামনা করে তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান স্পিকার।

সোহেল রানার মৃত্যুতে ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া এমপি এবং চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুন লাগার পর উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছিলেন রানা। ২৩ তলা ওই ভবনে আটকা পড়া মানুষদের ল্যাডারের (মই) মাধ্যমে নামাচ্ছিলেন তিনি।

Advertisement

সোহেল যখন ৪-৫ জন আটকে পড়া ব্যক্তিকে উদ্ধার করে নিচে নামাতে চান তখন উদ্ধারকারী ল্যাডারটি ওভারলোড দেখাচ্ছিল। ওভারলোড হলে সাধারণত সিঁড়ি নিচে নামে না, স্বয়ংক্রিয়ভাবে লক হয়ে যায়। তাই ল্যাডারের ওজন কমাতে একপর্যায়ে সোহেল ল্যাডার থেকে বেয়ে নিচে নামছিলেন।

এরপর ল্যাডারটির ওজন কমে যাওয়ায় সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে যায়। এরপরই ঘটে যায় সেই ঘটনাটি যা তার জীবনের আলো নিভিয়ে দিল। ল্যাডারের ভেতরে সোহেলের একটি পা ঢুকে যায়। এ ছাড়া তার শরীরের সেফটি বেল্টটি ল্যাডারে আটকে পেটে প্রচণ্ড চাপ লাগে। এরপর থেকেই সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন সোহেল।

দুর্ঘটনার পরপরই তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রতিদিন চার ব্যাগ রক্ত দেয়া হলেও প্রত্যাশা অনুযায়ী উন্নতি হচ্ছিল না। পেটের ক্ষতের কারণে সমস্যা হচ্ছিল তার।

সে কারণে সিএমএইচের চিকিৎসকদের পরামর্শে গত শুক্রবার (৫ এপ্রিল) তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ২টা ১৭ মিনিট) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় সোহেল রানার।

Advertisement

এইচএস/এমএসএইচ/জেআইএম