বায়ুদূষণ রোধে কেবল প্রকল্প নয়, উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে নজরদারির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)। সোমবার রাজধানীর কলাবাগানে পবা কার্যালয়ে ‘বায়ুদূষণে হুমকীতে জনস্বাস্থ্য : দূষণ নিয়ন্ত্রণে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন বনাম প্রকল্প ভাবনা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে এ দাবি জানানো হয়।
Advertisement
বক্তরা বলেন, বিশ্বে দূষিত বায়ুর শহরগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে ঢাকা। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা হেলথ ইফেক্টস ইনস্টিটিউট এবং ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিকস অ্যান্ড ইভালুয়েশনের যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন বলা হয়, বায়ুদূষণের কারণে বাংলাদেশে বছরে ১ লাখ ২২ হাজার ৪০০ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।
পরিবেশ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ১৯৭ দিন রাজধানীবাসী দূষিত বাতাসে ডুবেছিল। আগের বছরগুলোতে রাজধানীর বাতাস বছরের ৩৬৫ দিনের মধ্যে ১২০ থেকে ১৬০ দিন দূষিত থাকতো। অর্থাৎ ঢাকার বায়ুদূষণ সময়ের বিবেচনাতেও বিপজ্জনক হারে বাড়ছে।
বক্তারা আরও বলেন, ব্যক্তিগত গাড়ি বৃদ্ধি বায়ুদূষণের অন্যতম প্রধান কারণ। ব্যক্তিগত গাড়ির দূষণ এবং নির্মাণ কাজের দূষণ হ্রাসে এ সংস্থা কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। ফলে নগর আজ দূষণের নগরীতে পরিণত হয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে পরিবেশ অধিদফতরে এ প্রকল্পের বাজেটে বরাদ্দ ছিল ৭৮১৫.০০ (লক্ষ টাকায়) টাকা।
Advertisement
তারা বলেন, বিশাল অর্থের বাজেট, লোকবল এবং বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে কার্যক্রম থাকলেও বায়ুদূষণ রোধ কেন ব্যর্থ হচ্ছে, তা খুঁজে বের করা প্রয়োজন। পরিবেশ অধিদফতর আইনের প্রয়োগ ও মনিটরিং অপেক্ষা অন্যান্য কাজে লোকবল ও বিনিয়োগের কারণে দেশের পরিবেশ দিন দিন ধ্বংস হচ্ছে।
বক্তারা বলেন, ঢাকায় বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়েই চলেছে। বায়ুদূষণের প্রধান উৎসগুলো চিহ্নিত করে, সেগুলো কমানো বা বন্ধ করার ফলপ্রসূ উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।
বায়ুদূষণের অন্যতম উপাদান ধুলা দূষণ। সেখানেও ধুলা দূষণের উৎসগুলো চিহ্নিত করে সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষকে (ডিএসসিসি, ডিএনসিসি, ওয়াসা, রাজউক ইত্যাদি) উদ্বুদ্ধ বা বাধ্য করতে হবে। এখানে প্রয়োজন মন্ত্রণালয়ের সহায়তা। পরিবেশ আইন সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হলে আমরা একটি বাসযোগ্য মহানগর ও দেশ পাব বলে বক্তারা আশা প্রকাশ করেন।
পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুস সোবহান, পবার যুগ্ম -সাধারণ সম্পাদক ডা. লেলিন চৌধুরী, নাসফের সাধারণ সম্পাদক মো. তৈয়ব আলী, ক্যাব নেতা মহিউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
Advertisement
এএস/এমএসএইচ/পিআর