হজ ও ওমরা পালনে সারাবিশ্ব থেকে মুসলিম উম্মাহ পবিত্র নগরী মক্কায় জড়ো হয়। বছরজুড়েই এ নগরী থাকে লোকে লোকারণ্য। ভিড়ের কারণে প্রায় সময়ই নিজ সঙ্গী-সাথীদের হারিয়ে ফেলার ঘটনা ঘটে। এ সব পরিস্থিতিতে চিন্তা বা ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
Advertisement
পবিত্র নগরী মক্কায় নতুন এসে কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওমরা পালন কালে বাইতুল্লায় তাওয়াফ, সাঈ কিংবা নামাজ আদায় করতে অনেকেই তার সঙ্গী-সাথীদের হারিয়ে ফেলে। আর তাতে তাদের অনেকেই দিশেহারা কিংবা ভয়ে আক্রান্ত হয়। এসব ক্ষেত্রে ভয়ের কোনো কারণ নেই।
তবে মক্কায় অবস্থানকারী স্থানীয় প্রবাসী, সৌদি নিরাপত্তা কর্মীদের সহায়তা নিতে পারেন। তাদের সাহায্যে মক্কার মিসফালায় অবস্থিত বাংলাদেশ হজ কার্যালয়ে তাদেরকে পৌছে দেবেন।
সুতরাং যারা হজ বা ওমরা পালনে পবিত্র নগরী মক্কায় যাবেন, প্রথমেই নির্দিষ্ট জায়গা বা হোটেলে মালপত্র রেখে সামান্য বিশ্রাম গ্রহণের পর ধীরে সুস্থে হজ ও ওমরার কাজগুলো সম্পাদনে বের হবে।
Advertisement
পবিত্র কাবা শরিফের মসজিদে হারামের প্রায় ১০০টি প্রবেশ পথ রয়েছে। আর আয়তন সম্প্রসারণের লক্ষ্যে চলছে নির্মাণ কাজ।
মসজিদে হারামের অধিকাংশ প্রবেশ পথ দেখতে একই রকম। তবে গেটে রয়েছে আলাদা নাম্বার। তাই তাওয়াফ ও সাঈ করতে যাওয়ার আগে নির্ধারিত একটি গেট নাম্বারে একত্রিত হওয়ার কিংবা কেউ হারিয়ে গেলে এ নির্ধারিত গেটে এসে উপস্থিত হবেন কিংবা অপেক্ষা করবেন।
আবার তাওয়াফ শুরু আগে একটি স্থান নির্ধারণ করে নিন যে, তাওয়াফ শেষ হলে যে স্থানে এসে নামাজ আদায় করবেন।
এভাবে সাঈ শুরু করার আগেও একটি স্থান নির্ধারণ করে নিন যে, সাঈ শেষ হলে যেখানে এসে একত্রিত হবেন। হতে পারে তা সাফা পাহাড় কিংবা মারওয়া পাহাড়।
Advertisement
মনে রাখবেন, মসজিদে হারামের ৭৯ নম্বর বাদশাহ ফাহাদ প্রবেশ গেটে সব সময় ভিড় বেশি থাকে। সুতরাং এ গেটে ছাড়াও আশপাশের অন্যান্য গেটগুলো ব্যবহার করতে পারেন। আবার এ গেটের পাশেও অপেক্ষা করা যেতে পারে। তবে সবার সঙ্গে যে জিনিসগুলো রাখা আবশ্যক তাহলো-
> হোটেলের ঠিকানা বা হোটেলের কার্ড কাছে রাখুন।> সঙ্গী বা গ্রুপ লিডার বা মোয়াল্লেমের ফোন নাম্বার সংগ্রহ করে রাখুন।> স্থান নির্ধারণ করা থাকলে সে স্থানে অপেক্ষা করুন।> সবশেষে হজ কার্যালয়ের আইটি হেল্প ডেস্ক-এর সহায়তা করুন।
উল্লেখ্য যে, মক্কার মতো মদিনায়ও উল্লেখিত বিষয়গুলো অবলম্বন করলে সঙ্গী-সাথী কিংবা হোটেলে সহজেই পৌছে যেতে পারবেন।
এমএমএস/পিআর