ক্যাম্পাস

জবিতে মঙ্গল শোভাযাত্রায় নদীর প্রতিচ্ছবি

বছর ঘুরে আবারো আসছে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) বাংলা নববর্ষ-১৪২৬ উদযাপনের ব্যস্ত সময় পার করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুশিল্পীরা। এবারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নববর্ষ উদযাপনে মঙ্গল শোভাযাত্রার মূল বিষয়বস্তু নির্ধারণ করা হয়েছে ‘নদী’। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) দেয়া নির্দেশনা মেনে মঙ্গল শোভা যাত্রায় মুখোশের পরিবর্তে রাখা হয়েছে বাংলাদেশের নদীর মাছ ও নদীর নানা অনুষঙ্গ।

Advertisement

আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেজ স্টাডিজ ভবনের নিচতলায় এবং চারুকলা বিভাগ ও শান্তচত্বর জুড়ে চারুশিল্পীদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায়।

জবির বৈশাখী থিম তৈরিতে ব্যস্ত চারুশিল্পী আরাফাত আমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘এবার পহেলা বৈশাখে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাদের নদীকেন্দ্রিক থিম দেয়া হয়েছে। একটি নদীতে যতরকম প্রাণি থাকে সেগুলো তুলে ধরতেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

জবির চারুকলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন বলেন, ‘ময়ূরপঙ্খী নৌকা, বাইজ নৌকা, শুশুক, ইলিশ মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের প্রতিচ্ছবি তৈরি করছি আমরা। নদীমাতৃক বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি এবাবের বৈশাখী মঙ্গল শোভাযাত্রায় তৈরি করব।’

Advertisement

মূল থিম ঠিক করা প্রসঙ্গে জবি উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। এই নদী না বাঁচলে আমরাও বাঁচব না। আর তাই আমাদের নিজেদের টিকে থাকার স্বার্থে নদীকে রক্ষা করতে হবে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকার খাল-বিল, নদ-নদীকে রক্ষার জন্য নানা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। নদী কমিশনকে শক্তিশালী করা হয়েছে। এবার পহেলা বৈশাখে আমাদের এবারের স্লোগান ‘নদী বাঁচলে বাঁচবে দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’।

তিনি আরও বলেন, ‘কম খরচে সহজে দুর্ঘটনা ছাড়া সবচেয়ে সহজলভ্য পথ হচ্ছে নদীপথ। দখলের মাধ্যমে হারিয়ে যাচ্ছে নদীপথ। নদীকে জীবন্ত ও সচল করতে পারলে একই সঙ্গে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উপকার হবে।’

জবির বৈশাখ উদযাপনের আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিবারের ন্যায় ব্যাপক পরিসরে আয়োজন করা হবে এবারের পহেলা বৈশাখ। পুরনো ঢাকার প্রায় ৪০টিরও বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এতে অংশগ্রহণ করবে। জবিকেন্দ্রিক সাংস্কৃতিক বলয় তৈরি হবে পুরান ঢাকায়।

প্রস্তুতির দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের প্রভাষক মারুফ আদনান বলেন, ‘এবারের বর্ষবরণে রয়েছে ভিন্নতা, মুখোশের পরিবর্তে সকলের হাতে দেখা যাবে মাছ। রয়েছে নৌকাবাইচের অনুষঙ্গ। নদীর অনুষঙ্গ হিসেবে থাকবে বজরা, ডিঙ্গি, ময়ূরপঙ্খীসহ বিভিন্ন প্রকারের নৌকা আর বাংলাদেশি শুশুক। তবে সময় স্বল্প হওয়ায় মাছ ধরার উপাদানগুলো তুলে ধরা যাচ্ছে না।’

Advertisement

ইমরান খান/এসআর/পিআর