জাতিসংঘ সমর্থিত লিবিয়ার ক্ষমতাসীন সরকার বলেছে, রাজধানী ত্রিপোলির কাছে সংঘর্ষে অন্তত ২১ জন নিহত ও আরো ২৭ জন আহত হয়েছেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এই সংঘর্ষ দ্রুত বন্ধ করে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন।
Advertisement
জেনারেল খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন দেশটির বিদ্রোহী একটি গোষ্ঠী রাজধানী ত্রিপোলির নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া হয়ে অগ্রসর হচ্ছে। লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী ফায়েজ আল-সিরাজ তার বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান চেষ্টা চালানোর অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন, নিরাপত্তা বাহিনীকে দিয়ে বিদ্রোহীদের মোকাবেলা করা হবে। সংঘর্ষে নিহতদের মধ্যে আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা রেড ক্রিসেন্টের এক চিকিৎসক রয়েছেন। জেনারেল হাফতার বাহিনী বলছে, সংঘর্ষে তাদের ১৪ যোদ্ধা নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন : মজা নিতে ১২ বছরে ৫০০০ শিশু অদল-বদল করেছেন এই নার্স
সংঘর্ষের পর জাতিসংঘ দুই ঘণ্টার জন্য সমঝোতার আহ্বান জানিয়েছিল; যাতে হতাহতদের সেখান থেকে উদ্ধার করা যায়। কিন্তু জাতিসংঘের এই আহ্বানে সাড়া দেয়নি কোনো পক্ষই; সংঘর্ষ এখনো চলছে।
Advertisement
এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, ত্রিপোলির কাছে সংঘর্ষের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করছে। তিনি সব পক্ষকে আলোচনায় বসে সংকট সমাধানের ওপর জোর দিয়েছেন।
‘ত্রিপোলিকে কেন্দ্র করে একতরফা সামরিক অভিযান বেসামরিক নাগরিকদের বিপন্ন করছে এবং লিবীয়দের সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের সম্ভাবনাকে ঝুঁকিতে ফেলছে।’
আরও পড়ুন : শুধু ছুঁয়ে দেখতে ব্যাংক থেকে ৬৯ কোটি টাকা তুললেন ধনকুবের
ত্রিপোলির পরিস্থিতি খারাপ আকার ধারণ করায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের নাগরিকদের লিবিয়া থেকে ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে।
Advertisement
২০১১ সালে সামরিক অভিযানে লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট মুয়াম্মার আল গাদ্দাফি নিহত হন। তার পর থেকেই আফ্রিকার এই দেশটিতে রাজনৈতিক সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে।
সূত্র : বিবিসি।
এসআইএস/এমকেএইচ