রাজনীতি

জিয়াউর রহমান অনৈতিক শিক্ষা দেয়নি

বিএনপি আন্দোলন করতে পারে না- ক্ষমতাসীনদের এমন মন্তব্যের জবাবে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ‘বর্তমান সরকারের লোকরা বলেন যে, বিএনপি আন্দোলন করতে পারে না। এমন বক্তব্যে আমি বলব, জিয়াউর রহমান আমাদের অনৈতিক শিক্ষা দেয়নি যে, আমরা ছুরি-চাপাতি, বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে আন্দোলন করাব। এটা আওয়ামী লীগের বৈশিষ্ট্য।’

Advertisement

রোববার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে দলের পক্ষ থেকে আয়োজিত গণঅনশন কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।

বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। মঈন খান বলেন, আমরা গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করি, যার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা এ দেশকে স্বাধীন করেছিল। আজ তারা যদি বেঁচে থাকত, তাহলে তারা দেশের এ অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন করলে আমরা কী উত্তর দিতাম?

সরকারকে উদ্দেশ্য করে মঈন খান বলেন, আমরা যে আন্দোলন করি না কেন, আপনারা সেই আন্দোলনকে পুলিশ-বিজিবি ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন বাহিনী দিয়ে কেন অনৈতিকভাবে দমনের চেষ্টা করেন?

Advertisement

তিনি বলেন, এ সরকার খালেদা জিয়াকে ভয় পায়। এরা শহীদ জিয়ার সৈনিকদের ভয় পায়। সেই কারণে সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় তারা খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাগারে রেখেছে।

মঈন খান বলেন, আমি শেখ হাসিনাকে বলব, কে বেশি জনপ্রিয়, আপনি না আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া? সাহস থাকলে একটা সুষ্ঠু নিবার্চন দিয়ে দেখেন। দেশের জনগণ আপনাদের দেখিয়ে দেবে, কে বেশি জনপ্রিয় নেত্রী?

মানুষের যে পাঁচটি মৌলিক অধিকার রয়েছে তার মধ্যে সুচিকিৎসা অন্যতম- উল্লেখ করে বিএনপির এ নীতিনির্ধারক বলেন, সেটা থেকেও খালেদা জিয়াকে বঞ্চিত করা হয়েছে। শুধু সুচিকিৎসা নয় খালেদা জিয়াকে জামিনের অধিকার থেকে সরকার বঞ্চিত করেছে।

তিনি বলেন, এ সরকার মানুষের মৌলিক অধিকার দিতে ব্যর্থ হয়েছে। যারা আজ স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং বিপক্ষের শক্তিকে বিভাজন করেছে তারা কী মানুষের মৌলিক অধিকার দিতে সক্ষম হয়েছে, প্রশ্ন আমার।

Advertisement

স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, অনুকম্পা বা দয়ায় নয়, আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্ত করতে হবে দেশনেত্রীকে। সময় আসবে, ঘোষণা আসবে, প্রস্তুতি নেন; দেশনেত্রীকে মুক্ত করা হবে।

স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সময় বেশিদিন নাই। শেখ হাসিনা প্যারোলে মুক্তি নিয়েছেন কিন্তু খালেদা জিয়া নেন নাই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলব, খুব বেশিদিন নাই, আপনাদের নেতাকে জনগণের কাছে প্যারোল চাইতে হবে। জনগণের নেত্রী জনগণের মাঝে আসবে জনগণের আন্দোলনের মাধ্যমে। কারও অনুকম্পা চাই না।

কেএইচ/এমএআর/পিআর