খেলাধুলা

নতুন কোচেও ভাগ্য বদলালো না মোহামেডানের

হারের বৃত্ত ভাঙ্গতে অস্ট্রেলিয়া থেকে নতুন কোচ উড়িয়ে এনেছে মোহামেডান; কিন্তু হারের বৃত্ত ভাঙ্গেনি। বরং ডাগআউটে দাঁড়িয়ে ৫৫ বছর বয়সী সিন লেন দেখলেন তার নতুন দলের আসল চেহারা। হয়তো বুঝে গেছেন, এই দলকে কোমর সোজা করে দাঁড় করানো কঠিন।

Advertisement

প্রতিপক্ষ শক্তিশালী। লিগ টেবিল শাসন করা বসুন্ধরা কিংস। এ মৌসুমে আগেও একবার দলটির মুখোমুখি হয়েছিল মোহামেডান। ফেডারেশন কাপের গ্রুপ পর্বের সেই ম্যাচে মোহামেডানের জালে গুনেগুনে ৫ গোল দিয়েছিল বসুন্ধরা কিংস।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে দিলো ৪ টি। ৪-১ গোলে হেরে মাঠ ছেড়েছে মোহামেডান। দুটি ড্রয়ের পর টানা ৩ হার- এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে আবারো হারের হ্যাটট্রিক হলো সাদাকালোদের।

এক ম্যাচ কম খেলেই আবাহনীর উপরে ছিল বসুন্ধরা কিংস। রোববার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে মোহামেডানের বিরুদ্ধে সহজ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ স্থানটা আরো মজবুত করলো স্বাধীনতা কাপ চ্যাম্পিয়নরা।

Advertisement

নতুন কোচ ডাগআউটে। স্বাভাবিকভাবেই সবার কৌতুহল ছিল কেমন করে মোহামেডান? ম্যাচের পর অস্ট্রেলিয়ান কোচ বেশ কিছুক্ষণ গণমাধ্যমের সঙ্গে কথাও বললেন। শেষ করলে- ‘আই অ্যাম হ্যাপি’ বলে।

আসলে সিন লেন দায়িত্ব নেয়ার পর মাত্র ২ সেশন অনুশীলন করাতে পেরেছেন মোহামেডানকে। এই স্বপ্ল সময়ে সব কিছু বদলে দেয়া যায় না। তবে তিনি চেষ্টা করেছেন, দলের মুভমেন্ট বাড়াতে। তেমন কিছু পরিবর্তন লক্ষ্যনীয়ও ছিল মোহামেডানের খেলায়।

জাতীয় দলের সাবেক স্ট্রাইকার জাহিদ হাসান এমিলিকে নতুন কোচ দাঁড় করিয়েছিলেন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে। কেন? তার উত্তরও দিয়েছেন নতুন কোচ, ‘এমিলি বুদ্ধিমান খেলোয়াড়। সে বল হোল্ড করতে পারেন। আমি মনে করি এই পজিশনে এমিলি ভালোই খেলেছে।’

এ ম্যাচে হজম করা চার গোলের তিনটিই ছিল মোহামেডানের রক্ষণ আর গোলরক্ষকের ভুলের মাসুল। ‘বসুন্ধরা কিংস ভালো দল। ভালো দলের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে এমন গোল খেলে কখনোই ম্যাচ জেতা যায় না। আমরা দুই অর্ধেই ভালো সুযোগ পেয়েছিলাম। বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে দুটো সুযোগে গোল না পাওয়াটা চরম হতাশার। এ গোলগুলো হলে ম্যাচের ফল অন্যরকমও হতে পারতো’-বলেছেন মোহামেডানের কোচ।

Advertisement

মোহামেডানের বিরুদ্ধে ম্যাচটি প্রথমার্ধেই বের করে নিয়েছিল বসুন্ধরা কিংস। ব্রাজিলিয়ান মার্কোস করেছেন জোড়া গোল। অন্য দুটি মতিন মিয়া ও কিরগিজস্তানের বখতিয়ারের। ৩-১ গোলে প্রথমার্ধ শেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে আরো এক গোল করেছে শিরোপা প্রত্যাশিরা।

১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার ২ মিনিটের মধ্যেই ম্যাচে ফিরেছিল মোহামেডান। বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষকের ভুলে ফাঁকায় বল পেয়েছিলেন মোহামেডানের গাম্বিয়ান মিডফিল্ডার ল্যান্ডিং। বক্সের বাইরে থেকে লম্বা শটে বল জালে পাঠান তিনি।

এই জয়ে বসুন্ধরা কিংসের ১০ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট। আর হারে মোহামেডান সমান ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে পড়ে রইলো সেই ১১ নম্বরেই। অবনমন অঞ্চলের কাছে থাকা মোহামেডানের শঙ্কা বাড়লো তাদের সপ্তম হারে।

আরআই/আইএইচএস/পিআর