পুলিশের কাছে অভিযোগ ছিল রাজশাহী নগরীর একটি ওষুধের দোকানে যৌন উত্তেজক ওষুধ বিক্রি হয়। এ অভিযোগে সাহেববাজার এলাকার ‘স্টার ফার্মেসি’ নামের ওই ওষুধের দোকান থেকে দুই কর্মচারীকে আটকও করা হয়।
Advertisement
তবে এর প্রতিবাদে দোকান বন্ধ করে ধর্মঘট শুরু করেন নগরীর সব ওষুধ বিক্রেতারা। অবশেষে ওই দুই কর্মচারীকে ছাড়ার পরই দোকান খুলেছেন তারা।
রোববার বেলা ১১টার দিকে ‘স্টার ফার্মেসি’ থেকে যে দুই কর্মচারীকে আটক করা হয় তারা হলেন- শামিম হোসেন ও শাহিন হোসেন। নগরীর বোয়ালিয়া থানার মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইফতেখার আল আমিন তাদের আটক করেন।
পরে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার তার জিম্মায় তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে যান। এরপর দুপুর ১টার দিকে ওষুধের দোকান খোলা হয়।
Advertisement
এদিকে, ওষুধের দোকান বন্ধ হয়ে পড়ায় ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকার সবগুলো ওষুধের দোকান বন্ধ হয়ে পড়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালসহ আশপাশের বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে ভর্তি থাকা রোগীর স্বজনরা ওষুধ সংগ্রহে বিপাকে পড়েন।
ওষুধ ব্যবসায়ীরা ঘোষণা দিয়েছিলেন, আটক দুই কর্মচারীকে না ছাড়া পর্যন্ত তারা দোকান খুলবেন না। পরে তাদের ছেড়ে দেয় পুলিশ।
জানতে চাইলে পুলিশের উপ-পরিদর্শক ইফতেখার আল আমিন বলেন, ‘স্টার ফার্মেসিতে’ যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট বিক্রি হয় বলে অভিযোগ ছিল। এর প্রেক্ষিতেই দুই কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়েছিল। তবে আটকের সময় এমন কোনো ওষুধ পাওয়া যায়নি। তাই নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার লিখিতভাবে তাদের জিম্মায় নিতে চাইলে দুইজনকে ছেড়ে দেয়া হয়।
ডাবলু সরকার লিখিতভাবে পুলিশকে বলেছেন, যৌন উত্তেজক ওষুধ বিক্রি করলে পরবর্তীতে চাইলেই পুলিশ তাদের আটক করতে পারবে।
Advertisement
এ বিষয়ে ডাবলু সরকার বলেন, ওষুধ বিক্রেতা সমিতির কথা হলো- রাজশাহীতে যৌন উত্তেজক ওষুধ তৈরির কারখানা আছে। আগে সেগুলো বন্ধ করতে হবে। তা না করে ওষুধের দোকানে অভিযান চালানো যাবে না। তাই তারা আটক কর্মচারীদের না ছাড়া পর্যন্ত দোকান খুলবেন না বলে ধর্মঘট শুরু করেন। এ অবস্থায় অসংখ্য রোগী সমস্যায় পড়েন। মানুষের এই দুর্ভোগ দূর করতেই নিজের জিম্মায় আটক কর্মচারীদের ছাড়িয়ে নিয়ে আসি। ফলে দুই ঘণ্টা পর দোকান খোলা হলেও মানুষের দুর্ভোগ কমে।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/এএম/জেআইএম