ম্যাচের তখন প্রায় শেষ দিকের ঘটনা। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ জয়ের একেবারে দ্বারপ্রান্তে। ১২৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে তখন রূপগঞ্জের ১০ কি ১২ রান প্রয়োজন ছিল।
Advertisement
ওই সময় ব্যাট করছিলেন শাহরিয়ার নাফীস। তার খেলা জোরালো একটি কাভার ড্রাইভ ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঁচাতে যান আবাহনীর ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু তার নেয়া ড্রাইভটা ঠিকমত ছিল না। ফলে ডান হাতে চোট পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে মাঠ ছাড়তে হয়েছে জাতীয় দলের এই ক্রিকেটারকে।
মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চলছিল আবাহনী এবং রূপগঞ্জের ম্যাচটি। মেহেদী হাসান মিরাজ হাতে চোট পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাঠে নেমে আসেন আবাহনীর ফিজিও। তার সঙ্গেই মাঠ ত্যাগ করেন মিরাজ। বাকি সময়টা আর ফিল্ডিং করতে মাঠে নামেননি তিনি।
ফিজিওর সঙ্গে মাঠ ছেড়ে সোজা বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরীর রুমে চলে যান মিরাজ। সেখানে তার হাতের অবস্থা চিকিৎসককে দেখান এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নেন তিনি।
Advertisement
আবাহনী-রূপগঞ্জের ম্যাচ শেষে বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, ‘তার হাতের চোটটা খুব বেশি গুরুতর নয়। এক্স-রেও করতে হয়নি। চোটের জায়গায় ফোলা কিংবা ব্যথা নেই। আশা করি বড় ধরনের কিছু নয়।’
মেহেদী হাসান মিরাজ জাতীয় দলের সবচেয়ে অ্যাকটিভ ফিল্ডার হিসেবে পরিচিত। জাতীয় দলের যে কোনো ম্যাচে দেখা যাবে যখন বাংলাদেশ বোলিং করে, তখন গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে ফিল্ডিং করছেন মিরাজ এবং তাকে ফাঁকি দিয়ে কোনো বল বাইরে চলে যাবে- সেটা যেন অনেকটাই অসম্ভব।
বিশ্বকাপের আগে সেই মিরাজকে হঠাৎ চোটে পড়ে মাঠ ছাড়তে দেখে বিচলিত হয়ে পড়েছিলেন অনেকেই। তবে বিসিবি চিকিৎসকের কথায় শেষ পর্যন্ত কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে এসেছে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেট সমর্থকদের মধ্যে।
এআরবি/আইএইচএস/জেআইএম
Advertisement