জাতীয়

অভিযান, জেল-জরিমানা বন্ধ করুন : মেয়রকে কেমিক্যাল ব্যবসায়ীরা

শুধু পুরান ঢাকা নয়, নতুন ঢাকাও অগ্নি ঝুঁকিপূর্ণ। তাই পুরান ঢাকায় আতঙ্ক না ছড়িয়ে সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা করতে দেয়ার অনুরোধ করেছেন কেমিক্যাল ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি কেমিক্যালের বিরুদ্ধে অভিযান, জেল-জরিমানা বন্ধে ঢাকা দক্ষিণের মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা।

Advertisement

রোববার পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় 'কেমিক্যাল এবং পারফিউমারি ব্যবসার সংকট ও এর সমাধান' নিয়ে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তারা একথা বলেন।

আরও পড়ুন >> এক সপ্তাহের মধ্যে পুরান ঢাকায় ফায়ার স্টেশন

সভায় বাংলাদেশ কেমিক্যাল অ্যান্ড পারফিউমারি মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন বলেন, শুধু পুরান ঢাকা নয়, নতুন ঢাকাও অগ্নি ঝুঁকিপূর্ণ। নতুন ঢাকার মোট ৭২ হাজার অগ্নি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রয়েছে। তারা এখন অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমরা একটা কারণে দক্ষিণ সিটির মেয়র সাঈদ খোকনকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমরা দেখছি বর্তমানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ফায়ার স্টিংগুইসারসহ নানা অগ্নিনিরাপত্তামূলক যন্ত্রপাতি লাগানো হচ্ছে, অথচ অনেক আগেই মেয়র সাঈদ খোকনের নির্দেশে আমরা পুরান ঢাকায় এসব যন্ত্রপাতি কিনেছি।

Advertisement

তিনি বলেন, পুরান ঢাকায় ৩৫টি ‘অতি দাহ্য পদার্থ’ অপসারণের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা বিস্ফোরক অধিদফতরের নিজস্ব জায়গায় সেগুলো রেখে আসি। তবে এই কার্যক্রমে প্রশাসনিক কর্মচারীদের দ্বারা আমাদের হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। আশা করছি ভবিষ্যতে এমন হবে না।

আরও পড়ুন>>জীবনের বিনিময়ে ব্যবসা নয়

মেয়রের কাছে কেমিক্যাল ব্যবসায়ীদের পক্ষে তিনি কয়েকটি প্রস্তাব তুলে ধরে বলেন, বিস্ফোরক অধিদফতরের পাশাপাশি ঢাকায় উজালা ম্যাচ ফ্যাক্টরি এবং ঢাকা ম্যাচ ফ্যাক্টরিতে কেমিক্যালের জায়গা বরাদ্দ, কেরানীগঞ্জের ব্রাহ্মণকির্তায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জমি বরাদ্দ করে কেমিক্যালগুলো সেখানে সরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করা, পুরান ঢাকার যেসব ভবনের নিচে গোডাউন এবং উপরে মানুষ বসবাস করে সেগুলোতে অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং পুরান ঢাকায় কেমিক্যালের বিরুদ্ধে কোনো অভিযান, জেল-জরিমানা না করে আমাদের ব্যবসার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া।

মতবিনিময়কালে একজন বাড়িওয়ালা অভিযোগ করেন, টাস্কফোর্সের অভিযানের ভয়ে ভাড়াটিয়ারা বাড়ি ছাড়ছেন। তার বাড়িতে এখন কোনো ভাড়াটিয়া নেই।

Advertisement

অনুষ্ঠানে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর মো. জাহিদ হোসেন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি.জেনারেল (ডা.) মো. শরীফ আহমেদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী সরদার, ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (মেইনটেইনেন্স অ্যান্ড অপারেশন) মেজর শাকিল নেওয়াজ উপস্থিত ছিলেন।

এআর/এমএমজেড/পিআর