স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, মাদার অব হিউম্যানিটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। জাতিসংঘের ৭২তম অধিবেশনে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে প্রধানমন্ত্রী পাঁচ দফা প্রস্তাবনা উত্থাপন করেন। সেই প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন সম্ভব।
Advertisement
রোববার কাতারের রাজধানী দোহায় শেরাটন কনভেনশন সেন্টারে ১৪০তম ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।
স্পিকার বলেন, জাতিসংঘ ও অন্যান্য আর্ন্তজাতিক সংস্থার সহায়তায় কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় দ্বি-পাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসন চায় বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে আইপিইউ সদস্য রাষ্ট্রসমূহের রোহিঙ্গা সমস্যার দ্রুত ও টেকসই সমাধানে এগিয়ে আসা প্রয়োজন। এ কারণে বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক সংগঠন আইপিইউতে রোহিঙ্গা ইস্যুকে জরুরি বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুসলিম সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় ইন্দোনেশিয়া যে এজেন্ডা উপস্থাপন করেছে তার সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যাকেও জরুরি এজেন্ডাভুক্তের দাবি জানান তিনি।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কাতারের শুরা কাউন্সিলের স্পিকার আহমেদ বিন আব্দুল্লাহ বিন জায়েদ আল মাহমুদ। পিউআইসির জেনারেল সেক্রেটারি সেনেগালের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ খৌরাচি নিয়াজ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
সভায় বাংলাদেশের পক্ষে আরও অংশ নেন সংসদ সদস্য আবদুস সোবহান মিয়া, এম এ লতিফ, জুয়েল আরেং, আব্দুস সালাম মুর্শেদী এবং শেখ তন্ময়।
এছাড়া স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আইপিইউয়ের ফোরাম অব উইমেন পার্লামেন্টারিন্সে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন। ফোরাম ২৯তম সেশনের জন্য কাতারের শুরা কাউন্সিলের সদস্য রিম আল মানসুরিকে সভাপতি নির্বাচন করে।
অনুষ্ঠানে আইপিইউ সভাপতি গ্যাব্রিয়েলা কিউভাস বেরন, কাতারের শুরা কাউন্সিলের স্পিকার আহমেদ বিন আব্দুল্লাহ বিন জায়েদ আল মাহমুদ, সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন চুংগং উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে ছিলেন- হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনি, সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল, আবদুস সোবহান মিয়া, এম এ লতিফ, জুয়েল আরেং, আব্দুস সালাম মুর্শেদী, পনির উদ্দিন আহমেদ, মো. আফতাব উদ্দিন সরকার এবং শেখ তন্ময়।
Advertisement
এইচএস/এমএমজেড/পিআর