কাজ করতে গিয়ে মানসিক চাপ আসবে না, তাতো হয় না! নিত্য নতুন চ্যালেঞ্জ, শারীরিক নানা অসুখ-বিসুখ অনেকসময় আমাদের কাবু করে ফেলে। তখন ঘিরে ধরতে পারে হতাশা। কোনো বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তাও হতে পারে মানিসক চাপের কারণ।
Advertisement
উচ্চ রক্তচাপ, অনিদ্রা, হজমের সমস্যা এমনকি স্নায়ুর সমস্যা পর্যন্ত দেখা দিতে পারে উদ্বেগ আর মানসিক চাপ থেকে। তাই সবার আগে মানসিক চাপ দূর করা উচিৎ। সেজন্য মনকে শান্ত করার পাশাপাশি খেতে হবে কিছু খাবার। তাতে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি মিলবে সহজেই-
আরও পড়ুন: যে কারণে জিরা খাওয়া জরুরি
ডার্ক চকলেটডার্ক চকলেট খেতে পছন্দ করেন নিশ্চয়ই? এটি কিন্তু আমাদের অনুভূতি নিয়ন্ত্রণের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী একটি খাবার। ডার্ক চকলেট খেলে ‘এন্ডোরফিন’ নামের এক রকম হরমোনের নিঃসরণ ঘটে যা আমাদের মানসিক চাপ বা উদ্বেগ দ্রুত কাটাতে সাহায্য করে। তাই মানসিক চাপ অনুভব করলে একটুখানি ডার্ক চকলেট চেখে দেখতে পারেন।
Advertisement
সবুজ সবজি প্রতিদিনের খাবার তালিকায় যতটা সম্ভব সবুজ শাক-সবজি রাখুন। সবুজ সবজি যেমন, শসা, ব্রকলি ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ফলিক অ্যাসিড আর ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। এই উপাদানগুলো আমাদের মস্তিস্কে তৃপ্তির অনুভূতি সৃষ্টি করে।
চিনি এমনিতে অতিরিক্ত চিনি খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। তবে মানসিক চাপ কাটাতে সামান্য চিনি খেয়ে দেখতে পারেন। এতে আমাদের মস্তিষ্কের উদ্দীপ্ত পেশিগুলি শিথিল হওয়া শুরু করে এবং মানসিক চাপ ধীরে ধীরে কমে যায়। তবে ডায়বেটিসের আক্রান্ত যারা, তাদের জন্য এই পদ্ধতি একেবারেই উচিৎ নয়।
মধুবাসায় খাঁটি মধু আছে তো? অবশ্য চিনির বিকল্প হিসেবে স্বাস্থ্যসচেতন অনেকেই আজকাল মধু ব্যবহার করেন। মানসিক চাপ বা উদ্বেগ কমাতেও মধু খুবই উপকারী।
মিষ্টি আলুমিষ্টি আলু খেলে আমাদের মানসিক চাপ ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। তাই মানসিক চাপ, উদ্বেগ বা বিষণ্ণতার মতো সমস্যায় মিষ্টি আলু সেদ্ধ করে খেতে পারেন। উপকার পাবেন।
Advertisement
আরও পড়ুন: ঠোঁটের রং দেখে জানা যাবে শরীরের অবস্থা
কাঠবাদামকাঠবাদামে রয়েছে ভিটামিন বি আর ভিটামিন ই, যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে উন্নত করতে অত্যন্ত কার্যকর। যখন আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা স্বাভাবিক থাকে, তখন আমরা মানসিক চাপ, উদ্বেগ বা বিষণ্ণতার মতো সমস্যায় কম ভুগি। তাই প্রতিদিন অন্তত ৫-৬টা কাঠবাদাম পাতে রাখুন। উপকার পাবেন।
কফিঅতিরিক্ত মানসিক চাপ অনুভব করলে এক কাপ কফি খান। মানসিক চাপ অনেকটাই কমে যাবে।
এইচএন/এমএস