কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বাসে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
Advertisement
হাইকোর্টের জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে দিয়ে রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ৩১ মার্চ এ হত্যা মামলায় খালেদাকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বারজজ আদালত। একইসঙ্গে, রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনটি আজ (৭ এপ্রিল) আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান চেম্বার বিচারপতি।
আদালতে ওই দিন রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মমতাজ উদ্দিন ফকির। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ ও মো. বশির উল্লাহ।
Advertisement
অন্যদিকে, খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, আব্দুর রেজাক খান, জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, বদরুদ্দোজা বাদল, কায়সার কামাল, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সজল ও ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান প্রমুখ।
গত ৬ মার্চ হাইকোর্ট রুল দিয়ে খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এই জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে।
এই মামলায় গত ৪ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার আদালত খালেদা জিয়ার জামিন নামঞ্জুর করেন। এরপর এই মামলায় জামিন চেয়ে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া।
২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে উপজেলার জগমোহনপুর এলাকায় কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী একটি বাসে পেট্রলবোমা হামলা হয়। এতে আটজন যাত্রী অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান ও ২৭ জন আহত হন। ঘটনার পরদিন ৩ ফেব্রুয়ারি ৫৬ বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১৫ থেকে ২০ জনের বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা করে পুলিশ।
Advertisement
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়াকে গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন।
এফএইচ/জেএইচ/এমএস