বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে অব্যাহত অনিয়ম ও দুর্নীতি কমাতে কঠোর হচ্ছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। প্রাথমিকভাবে মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস বিভাগকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ বিভাগে দীর্ঘদিনের অনিয়ম বন্ধ করে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা চালু করা হচ্ছে।
Advertisement
ইতোমধ্যে টিকিট বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগে সংস্থার শীর্ষ দুই কর্মকর্তাকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। রদবদল করা হয়েছে আরও পাঁচটি পদ।
বিমানের একটি বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, চলতি সপ্তাহে কার্গো শাখার আরও আট জনকে বদলি করা হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছেন এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ তিন কমার্সিয়াল অফিসার এবং চার জুনিয়র কমার্সিয়াল অফিসার। এদের বিরুদ্ধে কার্গোর কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ পেয়েছে মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রনালয় সূত্র জানায়, বিমানের সব বিভাগে দুর্নীতি নেই। তবে তিনটি বিভাগে দুর্নীতির চিত্র ভয়াবহ। মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং কাস্টমার সার্ভিস বিভাগ। বিমানের সমস্ত আয়ের যোগান আসে এই তিন বিভাগ থেকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য মার্কেটিং অ্যান্ড সেলসের অধিনস্ত কার্গো। টিকিট বিক্রয় খাতের উল্লেখযোগ্য আয় বিমানের কোষাগারে জমা হয় না।
Advertisement
২০০৮ সাল থেকে বিমানের নন-সিডিউল ফ্রেইটারের সমস্ত আয় এক শীর্ষ কর্তাসহ একটি চিহ্নিত মহল আত্মসাৎ করে। ইতোমধ্যে ৭২০ কোটি টাকা আত্মসাতের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে, এ নিয়ে তদন্ত করে মন্ত্রণালয়েরে তদন্ত কমিটি।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা নন-সিডিউল সকল ফ্রেইটারের হ্যান্ডেলিং দেয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। প্রতিনিয়ত ওয়াইড বডির নন-সিডিউল ফ্রেইটার আসলেও সেগুলোকে বিমানের নথিতে কম কার্গো ক্যাপাসিটির ন্যারো বডির ফ্রেইটার হিসেবে দেখানো হয়। এ প্রক্রিয়ায় বিপুল পরিমাণ অর্থ বিমানের ফাণ্ডে জমা না দিয়ে, দুর্নীতিবাজ বিমান কর্মকর্তারা নিজেদের পকেটে ঢোকায়।
এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয়ের সচিব মহিবুল হক জাগো নিউজকে বলেন, আমরা বিমানের সকল দুর্নীতির চিত্র হাতে পেয়েছি। ধীরে ধীরে বিমানের সকল দিক ও বিভাগকে ধরা হবে। দুর্নীতি নির্মূলে যাবতীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরএম/এমএসএইচ/এমএস
Advertisement