জাতীয়

আইসিইউতে বেঁচে থাকার আকুতি দগ্ধ মাদরাসাছাত্রীর

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে শুয়ে বাঁচার আকুতি করছেন সহপাঠীদের দেয়া আগুনে দগ্ধ ফেনীর মাদরাসাছাত্রী।

Advertisement

শনিবার সন্ধ্যায় পুরো শরীর পোড়া নিয়ে ঢামেক বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেনের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ডা. সামন্ত লাল জাগো নিউজকে বলেন, মেয়েটিকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। আমি তার সঙ্গে কথা বলেছি। তাকে জিজ্ঞেস করি তুমি কেমন আছ? উত্তরে সে বলেছে, ‘স্যার আমাকে বাঁচান’।

আরও পড়ুন > গায়ে আগুন দেয়ার বর্ণনা দিলেন সেই মাদরাসা ছাত্রী

তিনি বলেন, ‘মেয়েটির শরীরের ৮০ ভাগ পুড়ে গেছে, এটা মেজর বার্ন। মুখ ছাড়া সব শরীরেই আগুন লেগেছিল। অবস্থা আশংকাজনক, আইসিইউতে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছি।’

Advertisement

এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে আলিম পরীক্ষা দিতে গেলে ওই ছাত্রীর গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। দগ্ধ ছাত্রীর বাড়ি সোনাগাজী পৌরসভার চরচান্দিয়া গ্রামে।

আরও পড়ুন > পরীক্ষা কেন্দ্রে মাদরাসাছাত্রীর গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন

এ বিষয়ে দগ্ধ ছাত্রীর ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বলেন, ‘আমার বোন সকালে আরবি প্রথমপত্র পরীক্ষায় অংশ নিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে যায়। এ সময় তাকে ফুঁসলিয়ে অধ্যক্ষের নিয়ন্ত্রিত কয়েকজন শিক্ষার্থী মাদরাসার ছাদে নিয়ে গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। পরে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সোনাগাজী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরবর্তীতে ফেনী সদর হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে কর্তব্যরতরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠান।’

আরও পড়ুন > ছাত্রীকে যৌন হেনস্তা, অধ্যক্ষ আটক

Advertisement

উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ ওই ছাত্রীকে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে যৌন হয়রানির অভিযোগে অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজ উদ্দৌলাকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ অধ্যক্ষের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে। অন্যদিকে আরেকটি অংশ তার শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন।

এআর/এমএমজেড/এমএস