তথ্যপ্রযুক্তি

ইন্টারনেট জ্ঞানের ভাণ্ডার : মোস্তাফা জব্বার

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ইন্টারনেট হচ্ছে জ্ঞানের ভাণ্ডার। প্রযুক্তি শিক্ষা রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করাতে না পারলে, একবিংশ শতাব্দীর বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা সম্ভব হবে না।

Advertisement

শনিবার মিরপুর সেনানিবাসে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে (বিইউপি) অনুষ্ঠিত বিইউপি টেকসার্জেন্স ২০১৯ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিইউপির উপাচার্য মেজর জেনারেল মো. এমদাদ উল বারী বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, কারিগরি শিক্ষা নিয়ে যত এগিয়ে যেতে পারব, অগ্রগতি তত ত্বরান্বিত হবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বা ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবে টিকে থাকার জন্য প্রযুক্তিগত শিক্ষা ব্যবস্থা অপরিহার্য। কায়িক শ্রম ও অস্ত্রের শক্তির চেয়ে মেধা অনেক বেশি শক্তিশালী। দেশের শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত মেধাবী বলে উল্লেখ করেন তিনি।

শেখ হাসিনার সরকার জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের যে যাত্রা শুরু করেছে, তা এগিয়ে নিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকা অপরিসীম উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও তার তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব আহমেদের দিকনির্দেশনায় প্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ অভাবনীয় সফলতা অর্জন করেছে।

Advertisement

কৃষিযুগ থেকে শিল্প বিপ্লবের বিবর্তনের ক্রমবিকাশের ধারাবাহিকতা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, এ অঞ্চলের জন্য কৃষিযুগটা খুবই সমৃদ্ধ ছিল। এর পরের রূপান্তর পৃথিবী শিল্প যুগে প্রবেশ করেছে। যন্ত্রকে ঠেকাতে হরতাল হয়েছে। পরবর্তীতে বুঝতে পেরেছে প্রযুক্তি ঠেকানো যায় না।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমরা তিনটি শিল্প বিপ্লব মিস করেছি। তবে গত ১০ বছরে প্রযুুক্তিতে ৩২৪ বছর পিছিয়ে থেকেও বাংলাদেশকে চতুর্থ শিল্প যুগে নেতৃত্বের জায়গায় নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি। প্রথম শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ শিক্ষা ডিজিটাল বিপ্লবের উপযোগী শিক্ষায় রূপান্তর শুরু হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ১৯৯৬-৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০ হাজার প্রোগ্রামার বানানোর প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১০ বছরে বাংলাদেশ প্রযুক্তিতে বিস্ময়কর অগ্রগতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। ২০৪১ সালের জ্ঞানভিত্তিক সমাজ নির্মাণের পথে দেশ এখন অনেক এগিয়ে।

পরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে উদ্ভাবন মেলার স্টল পরিদর্শন করেন মন্ত্রী।

Advertisement

আরএম/এমএসএইচ/এমএস