মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজাইরাহ শহরে প্রবাসী এক গৃহকর্মীকে তার প্রেমিকের সঙ্গে অবৈধ শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার দায়ে আটকের পর আদালতে তোলা হয়েছে। ওই নারী গৃহকর্মী ও তার প্রেমিক এশীয়। তবে তারা কোন দেশের নাগরিক সেটি প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ।
Advertisement
আদালতের নথি বলছে, ওই নারী গৃহকর্মী ফুজাইরাহ শহরে আমিরাতের একটি পরিবারে কাজ করতেন। মোবাইল ফোনে পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। মোবাইলে কথোপকথনের পর তারা স্বাক্ষাৎ করার সিদ্ধান্ত নেন। পরে নিয়োগকর্তার বাড়িতে প্রেমিককে ডেকে এনে অবৈধ শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন ওই নারী।
ওই গৃহকর্মী অপেক্ষায় ছিলেন মালিকের স্ত্রী কখন বাসা থেকে বেরিয়ে যান। পরে যখন তিনি বাসা থেকে বেরিয়ে যান তখন মোবাইল ফোনে কল করে প্রেমিককে ডেকে আনেন। কিন্তু বিপত্তি বাধে অন্য জায়গায়। নির্ধারিত সময়ের আগেই বাসায় চলে আসেন মালিকের স্ত্রী।
আরও পড়ুন : মেঝেতে বসে কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী, নাগরিকরা চেয়ারে
Advertisement
বাসায় পৌঁছে সবকিছু অগোছালো ও এলোমেলো অবস্থা দেখে চমকে যান তিনি। পরে বেশ কয়েকবার ওই নারী গৃহকর্মীকে ডাকেন; কিন্তু তার কাছ থেকে কোনো সাড়া পাননি তিনি।
গৃহকর্মীর খোঁজ করতে গিয়ে তার কক্ষে অপরিচিত এক যুবককে দেখতে পান মালিকের স্ত্রী। ফোন করে স্বামীকে বাসায় ডাকেন। সঙ্গে সঙ্গে ফুজাইরাহ পুলিশকে এ ব্যাপারে অভিহিত করেন তিনি। পুলিশ পৌঁছে ঘটনাস্থল থেকে এশীয় এই প্রেমিক জুটিকে আটক করে।
অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত থাকার দায়ে ফুজাইরাহ পাবলিক প্রসিকিউশন তাদের অপরাধ আদালতে প্রেরণ করে। তাদের বিরুদ্ধে পাপকর্মে ও অবৈধ শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন : পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে ভারতের পাঁচ সেনা নিহত
Advertisement
আদালতে তোলা হলে প্রেমিক তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন। ওই নারী গৃহকর্মীর সঙ্গে তার পারিবারিক সম্পর্ক আছে বলেও দাবি করেছেন। প্রেমিক তরুণ বলেছেন, ‘সে আমার চাচার মেয়ে এবং আমরা কোনো ভুল করিনি।’ পরে আদালতে শুনানি মূলতবি করা হয়।
সূত্র : খালিজ টাইমস।
এসআইএস/এমএস