দুই শর্ত পূরণ হলেই চালু হবে বনানীর এফআর টাওয়ার। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) তদন্ত প্রতিবেদনে এমনটিই জানানো হয়েছে।
Advertisement
রাজউকের তদন্ত কমিটির সুপারিশে বলা হয়েছে, এফআর টাওয়ারের অবকাঠামোগত, অগ্নি ও ইলেকট্রিক ডিটেইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসেসমেন্ট ৪৫ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। ডিইএ রিপোর্ট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় মজবুত কাজ সম্পন্ন করতে হবে। এ দুটি সুপারিশ বাস্তবায়ন হলেই ভবনটি ব্যবহার করা যাবে।
এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্তে নেমে বুয়েট ও রাজউকের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি ভবনটির ১৮ তলা পর্যন্ত অনুমোদনের তথ্য পেয়েছে। তবে ভবনটির ১৯-২৩ তলা পর্যন্ত অবৈধ ও অনুমোদনের কোনো নকশা পায়নি কমিটি।
কমিটির এক সদস্য জানান, বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাজউকের চেয়ারম্যানের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে।
Advertisement
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই ভবনের জরুরি বহির্গমন সিঁড়ি সরু ছিল। এছাড়া সিঁড়িটি সবার ব্যবহারের উপযোগীও ছিল না। ওই ভবনে ফায়ার ডোর না থাকায় জরুরি বহির্গমন সিঁড়িটা নিরাপদ ছিল না।
এদিকে সম্প্রতি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রাজধানীর বিভিন্ন উঁচু ভবনের সার্বিক বিষয় ক্ষতিয়ে দেখতে অভিযানে নেমেছে রাজউক। রাজউকের আটটি জোনের অধীনে ২৪টি টিম (অথরাইজড অফিসার, সহকারী অথরাইজড অফিসার, প্রধান ইমারত পরিদর্শক, ইমারত পরিদর্শকের সমন্বয়ে) ১০ তলার বেশি বহুতল ভবনগুলোর বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।
এফআর টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডের পর জানা যায়, ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর ১৮ তলা ভবন নির্মাণের জন্য এফআর টাওয়ারের নকশা রাজউক থেকে অনুমোদন করা হলেও সেখানে পরবর্তীতে নির্মাণ করা হয় ২৩ তলা। যেখানে রাউজক অনুমোদিত নকশার সঙ্গে ভবনের নকশায় অনেক বিচ্যুতি রয়েছে। এফআর টাওয়ারের মালিকপক্ষ ২০০৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি রাজউকের কাছে আরেকটি নকশা পেশ করে, যার সঙ্গে রাজউকে সংরক্ষিত নকশার কোনো মিল নেই।
প্রসঙ্গত গত ২৮ মার্চ বনানীর ১৭ নম্বর সড়কে এফআর টাওয়ারের ভয়াবহ আগুনে ২৬ জন নিহত হন। এর আগে ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডে ৭১ জন নিহত হন।
Advertisement
এএস/এএইচ/এমএস