রাজধানীর পুরান ঢাকার ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো ভেঙে নতুন ভবন করে দেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনাও রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকনের সঙ্গে কথাও হয়েছে সরকারসংশ্লিষ্টদের।
Advertisement
এ তথ্য জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
শনিবার (৬ এপিল) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘ইমারত নির্মাণে সরকারের দায়িত্ব ও নাগরিকের করণীয়’ শীর্ষক মিট দ্য প্রেসে এ তথ্য জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা শহরের বয়স প্রায় এক হাজার বছর। এ শহরে কিছু ভবন রয়েছে, যেগুলো অনেক আগে হয়েছে। এগুলো রাতারাতি ভেঙে নতুন করে করা সম্ভব নয়। সেজন্য আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি। সেটা হচ্ছে পুরান ঢাকাকে রি-ডেভেলপমেন্ট করা। এর অর্থ হচ্ছে পুরান ঢাকার পাঁচ কাঠা জায়গার ওপর কোথাও কোথাও তিনটা ভবন আছে। সেগুলোতে ইটের ব্যবহার করা হয়েছে, কিন্তু সিমেন্ট, রডের ব্যবহার কম।’
Advertisement
‘আমি পুরান ঢাকাবাসীকে প্রস্তাব দেব, তাদের পুরনো ভবন ভেঙে আমরা মানসম্মত, পরিবেশসম্মত, বিল্ডিং কোডসম্মত ইমারত নির্মাণ করে দেব। তিনজন মালিক অনুপাত অনুযায়ী যে কয়টা ফ্ল্যাট পেতে পারেন, আমরা তা দিয়ে দেব। যাতে পুরনো ঢাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবন না থাকে’- বলেন রেজাউল করিম।
এ ধরনের প্রস্তাব আগেও দেয়া হয়েছিল। তখন হয়নি, এবার তা কতটা সম্ভব? আর পুরান ঢাকাবাসী যদি এটা গ্রহণ না করে- সেক্ষেত্রে কী হবে? জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “আমি কারও মন জানি না। তবে আমার যতটুকু বিশ্বাস, আমরা যদি সক্ষম হই, আপনার সন্তান, আপনার জীবন, আপনার পরিবার বিপন্ন হয়ে গেলে আপনার রক্ষণশীলতার মায়া নিয়ে কী হবে? ‘আমার পুরান ঢাকার বাড়ি আমি ছাড়ব না’ এ মায়ার চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ আপনাদের জীবন। আমার বিশ্বাস, আমরা সবাই মিলে উদ্যোগ নিলে তারা বুঝবে।”
মন্ত্রী আরও বলেন, এখনও হয়নি, আগামীতে যে হবে না, এটা আমি বিশ্বাস করি না। আমাদের আত্মবিশ্বাস আছে, আমরা চেষ্টা করব।
বর্তমান অবস্থায় পুরান ঢাকাকে একেবারে ঝুঁকিমুক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না বলেও জানান মন্ত্রী।
Advertisement
তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যাওয়ার মতো অবস্থা নেই। রাস্তা প্রশস্ত করতে হলে অনেক বিল্ডিং সরাতে হবে। সেখানকার ভবনগুলোর অবস্থা এতটাই নাজুক, একটা ভবনের ইটে আঘাত করলে পুরো ভবনটাই ভেঙে পড়তে পারে- এমন স্থাপনাও রয়েছে।
পিডি/জেডএ/জেআইএম