নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার সমর্থক ও যেসব অধিকারকর্মী এজন্য সক্রিয় আন্দোলন-প্রতিবাদ করে কারাভোগ করছেন তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা থাকার অভিযোগে আটজনকে আটক করেছে সৌদি আরব। যাদের মধ্যে একজন অন্তঃসত্ত্বা ও দুজনের মার্কিন-সৌদি দুই দেশেরই নাগরিকত্ব আছে।
Advertisement
ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান এই গ্রেফতারের ঘটনা সম্পর্কে জানে এমন একটি সূত্রের বরাত দিয়ে শুক্রবারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। গত বছরের অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনসল্যুটে রিয়াদের পাঠানো কিলিং স্কোয়াড ওয়াশিংটন পোস্টের কলাম লেখক জামাল খাশোগিকে হত্যার পর এমন গ্রেফতার অভিযান শুরু করেছে দেশটি।
জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডে সৌদির ডি-ফ্যাক্টো নেতা যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশ ছিল বলে সেসময় আন্তর্জাতিক মহলে তুমুল সমালোচনা তৈরি হয়। তাছাড়া খাশোগি হত্যায় সৌদির পাঠানো কিলিং স্কোয়াডের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন যুবরাজ বিন সালমানের সাবেক উপদেষ্টা ও তার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এক ব্যক্তি।
আরও পড়ুন>> সবচেয়ে বেশি অধিকার বঞ্চিত সৌদি নারীরা
Advertisement
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার এই আট অধিকারকর্মীকে আটক করা হয়। তবে তাদেরকে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করতে দেখা যায় না। তারা মূলত লেখক ও আইনজীবী কিংবা ব্লগার। নারী অধিকার ও অন্য বিষয় নিয়ে তারা মূলত অনলাইনে লেখালেখি করেন।
সম্প্রতি সৌদি আরবে যেসব নারী অধিকারকর্মীকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে গ্রেফতার হওয়া কর্মীরা ওই নারীদের মুক্তির দাবিতে অনলাইনে লেখালেখি করছিলেন। সক্রিয় সেসব কর্মীকে সমস্যা মনে হওয়াতেই তাদের গ্রেফতার করা হলো। তাছাড়া বিচারাধীন সেসব নারীর সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কও রয়েছে।
আরও পড়ুন>> নাচতে রাজি না হওয়ায় স্ত্রীর মাথা ন্যাড়া করে দিলেন স্বামী
যাদেরকে আটক করা হয়েছে তাদের সাতজন নারী ও একজন পুরুষ। গ্রেফতার হওয়া অধিকারকর্মীদের মধ্যে একজন নারী অন্তঃসত্ত্বা। তাছাড়া দুজনের যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব উভয় দেশের নাগরিকত্ব আছে। ২০১৭ সাল থেকে দেশটিতে ওয়ালিদ আল ফিতাহি নামের দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকা এক মার্কিন নাগরিক কারাবন্দি আছেন।
Advertisement
এসএ/পিআর