জাতীয়

বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর অনুরোধ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

জনগণের দোরগোড়ায় আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার কাজ ত্বরান্বিত করতে আগামী বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

Advertisement

তিনি বলেন, খুবই সীমিত বাজেট নিয়ে দেশের মানুষের জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সাফল্য দেখিয়েছে। এমনকি অনেক দেশের তুলনায় কম বাজেটে নিয়েও বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত দক্ষিণ এশিয়ায় স্বীকৃত অবস্থানে পৌঁছেছে। আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা তৃণমূল পর্যন্ত পৌঁছে দেয়ার চ্যালেঞ্জ উত্তরণে আগামী বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দের হার বাড়ানো প্রয়োজন।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সচিবালয়ে আয়োজিত বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জিত সাফল্যের চিত্র তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরপরই ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালের প্রথমবার সরকার পরিচালনায় এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করেন।

Advertisement

তিনি বলেন, এখন সারাদেশে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক সাফল্যের সাথে জনগণকে সেবা দিচ্ছে। প্রতিদিন প্রতিটি ক্লিনিক থেকে প্রায় ১০০ মানুষ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে। ৩০ রকমের ওষুধ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরিবার পরিকল্পনা উপকরণ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারী, পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ সকল ধরনের কোটি কোটি মানুষ সহজে বিনামূল্যে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন যা দেশে সমতাভিত্তিক সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এবং এইসফলতা বিশ্বে অনেক দেশের জন্য অনুকরণীয়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার পুরানো কমিউনিটি ক্লিনিক নতুন করে সংস্কার করে আরও রোগীবান্ধব হিসাবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। এখানে ডেলিভারি রুমসহ পৃথক বিশ্রামাগর, কাউন্সেলিং রুম থাকবে।

তিনি বলেন, শহরের দরিদ্র মানুষ যেন সহজে বিনামূল্যে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পায় সেজন্য শহরের হাসপাতালগুলোতে ‘বিশেষ কর্নার’ খোলার চিন্তা করছে সরকার। এ ধরনের কর্নার খোলা হলে দরিদ্র শহুরে মানুষেরা দ্রুত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পাবেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদফতর এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

এমইউ/এমবিআর/পিআর