টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের নিউ হোস্টেল ভবন-২ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত পাঁচ ছাত্রীকে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা ১০মিনিটে ভবনের সিঁড়ি কোটায় বিদ্যুতের প্যানেল বোর্ডের শর্টসার্কিট থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে ৬ তলা পুরো ভবন ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। মির্জাপুর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছানোর আগেই স্থানীয় যুবক আল মামুন, এসি টেশনিশিয়ান সুজন ও কুমুদিনী হাসপাতালের কর্তব্যরত নিরাপত্তাকর্মী গোলাম মোস্তফাসহ কয়েকজন বালু ও ৭টি ফায়ার এক্সটিংগুইশার ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
পরে ওই ভবনের ২,৩ ও ৬ তলায় আটকা পড়া বিদেশি ছাত্রীসহ ১৪৪ জন ছাত্রীকে নিরাপদে নামিয়ে আনা হয়। তবে হুড়োহুড়ি করে নিচে নামার সময় তিনজন ছাত্রী পায়ে আঘাত পান এবং দুইজন ছাত্রী জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তাদের দ্রুত কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ওই ভবনে কর্তব্যরত নিরাপত্তা কর্মী গোলাম মোস্তফা বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন সিঁড়ি কোটায় কাজ করছিলেন। কীভাবে আগুন লেগেছে বুঝতে পারিনি। আগুন লাগার পর দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছি।
Advertisement
হল সুপার রিনা জানান, ভবনের কয়েকটি কক্ষে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্যানেল বোর্ডে কাজ করছিলেন। এ সময় হঠাৎ আগুনের সূত্রপাত ঘটে।
কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের অফিসার্স ইনচার্জ রতন চন্দ্র সরকার জানান, ভবনের ওপর থেকে হুড়োহুড়ি করে নিচে নামার সময় তিনজন ছাত্রী পায়ে আঘাত এবং দুইজন ছাত্রী ভয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তাদের কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হোস্টেল কো-অর্ডিনেটর ডা. শামসুন্নাহার জলি জানান, হোস্টেলটি নতুন। ১৪৪ জন ছাত্রীকে এই হোস্টেলে আনা হয়েছে। তবে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনায় বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
মির্জাপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন লিডার মহিদুর রহমান জানান, আবাসিক ভবনের বিদ্যুতের প্যানেল বোর্ডে শর্টসার্কিট থেকে আগুন ধরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই বালু ও ফায়ার এক্সটিংগুইশার ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
Advertisement
এস এম এরশাদ/আরএআর/পিআর