পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানটা নিজেদের দখলেই রাখল আবাহনী লিমিটেড। যে ম্যাচটিতে হারের শঙ্কা ছিল, সেটিও তারা জিতে গেল জহুরুল ইসলাম আর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে। মিরপুরের শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবকে ৪ উইকেট আর ৭ বল হাতে রেখে হারিয়েছে মোসাদ্দেক হোসেনের দল।
Advertisement
লক্ষ্যটা খুব বড় ছিল না, ২২৫ রানের। তবে দোলেশ্বরের বোলাররা চাপে ফেলে দিয়েছিলেন আবাহনীকে। ১৩৫ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে একটা সময় তো হারের শঙ্কাতেই ছিল আকাশি-হলুদরা। সেখান থেকে দুর্দান্ত এক জুটিতে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে তবেই থেমেছেন জহুরুল-সাইফউদ্দিন।
ওপেনিংয়ে নেমে আরও একবার ব্যর্থ সৌম্য সরকার, ৯ বলে ১০ রান করে হন আবু জায়েদের শিকার। এক বল বিরতি দিয়ে নাজমুল হোসেন শান্তকেও (০) তুলে নেন জাতীয় দলের এই পেসার। এরপর প্রিয়াঙ্ক পঞ্চলকে (০) বোল্ড করে আবাহনীকে ৩ উইকেটে ২৩ রান বানিয়ে ফেলেন ফরহাদ রেজা।
তবে একটা প্রান্ত ধরে দলকে ঠিকই এগিয়ে নিতে থাকেন জহুরুল। চতুর্থ উইকেটে মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে ৬৩ রানের জুটি গড়েন। ৪০ রান করে মিঠুন ফিরলে ভাঙে এই জুটিটি। এরপর ঝড় তুলে (২০ বলে ২৬) সাজঘরের পথ ধরেন সাব্বির রহমান। অধিনায়ক মোসাদ্দেক আউট ২ রানেই। দল তখন মহাবিপর্যয়ে।
Advertisement
সেখান থেকে সপ্তম উইকেটে ৯২ রানের ম্যাচ জেতানো এক জুটি গড়েন জহুরুল-সাইফউদ্দিন। জহুরুলের সেঞ্চুরির সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু ১২৭ বলে ১০ বাউন্ডারিতে ৯১ রানে অপরাজিতই থেকে যান এই ওপেনার। ৬৯ বলে ৭ চারে হার না মানা ৫৫ করেন সাইফউদ্দিন।
এর আগে সৌম্য সরকার, মাশরাফি বিন মর্তুজাদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৯ উইকেটে ২২৪ রানের বেশি এগোতে পারেনি প্রাইম দোলেশ্বর। দলের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কেউ হাফসেঞ্চুরিও পাননি। ফরহাদ হোসেন ৪৭, তাইবুর রহমান ৪১ আর মার্শাল আইয়ুব করেন ৪০ রান।
১০ ওভারে ৩৪ রান খরচায় ৪টি উইকেট নেন সৌম্য সরকার। ৪৮ রান খরচায় মাশরাফির শিকার ২ উইকেট।
এমএমআর/এমকেএইচ
Advertisement