চারদিন আগের কথা। বনানীতে আগুন লাগার পর সবাই যখন ভবনের নকশা অনুমোদন নিয়ে রাজউকের সমালোচনা করছিল সে সময় গণপূর্তমন্ত্রীর বক্তব্যের সময় পেছনে ঘুমাচ্ছিলেন রাজউক কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম খান। আজহারুলকে রাজউকের প্রতীকী হিসেবে ধরে দেশব্যাপী চলে কঠোর সমালোচনা।
Advertisement
এবার এমনি কাণ্ড হলো বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদর দফতরের একটি অনুষ্ঠানে। এবার ঘুমিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিলি) দুপুরে সীমান্তবর্তী এলাকার সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এবং বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় দুপুর আড়াইটার দিকে বক্তব্য দেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তার বক্তব্য শেষ হওয়ার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বক্তব্য শুরু করেন।
সভাস্থলে রাখা বড় দুটি স্ক্রিনে দেখা যাচ্ছিল আসাদুজ্জামান খান কামাল কথা বলছিলেন তখন তার পাশে বসেই ঘুমাচ্ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী। বেশ কয়েক মিনিট ধরে চলছিল এ দৃশ্য। এ নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে কানাঘুষা শুরু হয়। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য অন্য ক্যামেরায় ধরেন ভিডিওগ্রাফার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদকে ক্যামেরার স্ক্রিনে আনা হয়।
Advertisement
এর আগে অবশ্য বক্তব্য দেন খাদ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে টহল বাড়াতে বিজিবি সদস্যদের জন্য মোটরসাইকেলের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। মাদকসহ যেকোনো চোরাচালানকারী ধরে সঙ্গে সঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজার ব্যবস্থা করতেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এছাড়া খাদ্যমন্ত্রী তার বক্তব্যে চোরাচালান ও মাদক ঠেকাতে সীমান্ত এলাকার থানায় দুর্বলচিত্তের কাউকে দায়িত্ব না দিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।
সকাল থেকে শুরু হওয়া মতবিনিময় সভায় সীমান্ত এলাকার সংসদ সদস্যরা ও জেলা প্রশাসকরা উপস্থিত ছিলেন।
এআর/এএইচ/আরএস/আরআইপি
Advertisement