জাতীয়

চালকদের মাদক পরীক্ষার উদ্যোগ নিচ্ছে ডিএনসিসি

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে নানামুখি উদ্যোগ হাতে নিতে যাচ্ছে ডিএনসিসি। এরমধ্যে চালকদের ডোপ টেস্ট (মাদক পরীক্ষা) বাধ্যতামূলক করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। ডোপ টেস্ট ছাড়া কোনো চালক গাড়ি চালাতে পারবেন না।’

Advertisement

বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএনসিসির নগর ভবনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের ছাত্র আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। বৈঠকে সরকারি অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা চালকদের ডোপ টেস্টের আওতায় নিয়ে আসছি। এটা করতে পারলে সড়কে শৃঙ্খলা অনেকটাই ফিরে আসবে। এজন্য কিছুদিন সময় দরকার। আমি দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের সঙ্গেও কথা বলব, বাস মালিক ও চালকদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’

Advertisement

মেয়র বলেন, ‘সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে আমরা অনেকগুলো কাজ শুরু করেছি। এরমধ্যে লাল রং দিয়ে বাস স্টপেজ লেখা নিশ্চিত করা হবে। জেব্রা ক্রসিং ও পুশ বাটন ট্রাফিক সিগনাল ব্যবস্থা চালু করা হবে। শুধু জেব্রা ক্রসিং নয়; এর সঙ্গে ফ্লাশ লাইট সিস্টেম চালু হবে। এ ছাড়া প্রগতি সরণিকে মডেল সড়কে রূপান্তর করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’

আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমরা চাই সম্মিলিতভাবে কাজ করতে। সে জন্য আমরা সবকিছু জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে এসেছি। আজ শিক্ষার্থীরা সরাসরি প্রশ্ন করতে পারছে এবং সেই প্রশ্নের উত্তরও আমরা দিচ্ছি।’

বৈঠকে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হয়। এরমধ্যে অন্যতম ছিল- বিআরটিএকে দালালমুক্ত করা, চুক্তিভিত্তিক গাড়ি চালানোর পরিবর্তে চালকদের বেতন কাঠামোর আওতায় আনা, বাস স্টপেজ, রোড সাইন সচল করা, গণপরিবহনের সংখ্যা বাড়ানো, ছাত্রছাত্রীদের অর্ধেক ভাড়া নিশ্চিত করা, হালকা যানবাহনের লাইসেন্স নিয়ে ভারি যানবাহন চালানো বন্ধ এবং ফুটওভার ব্রিজ না করে জেব্রা ক্রসিং ব্যবহারে জোর দেয়া।

এসব দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিআরটিএ চেয়ারম্যান মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘আমরা বিআরটিএকে দালালমুক্ত করতে এরইমধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা ১৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করেছি। তারা সার্বক্ষণিকভাবে বিআরটিএতে কাজ করছেন এবং অনেক দালালকে শাস্তি দিয়েছেন।’

Advertisement

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই প্রধান, প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল যুবায়ের সালেহীন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক বিভাগ) মীর রেজাউল আলম, বিআরটিএ পরিচালক (রোড সেফটি) শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী প্রমুখ।

গত ১৯ মার্চ সকালে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন প্রগতি সরণি এলাকায় সুপ্রভাত (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৪১৩৫) পরিবহনের একটি বাসের চাপায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহাম্মেদ চৌধুরী নিহত হন। পরে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ৮ দফা দাবি ঘোষণা করেন।

এএস/এনডিএস/এমকেএইচ