জাতীয়

হাসপাতালগুলোর আগুন নেভানোর ব্যবস্থা জানতে চেয়েছে মন্ত্রণালয়

সরকারি হাসপাতালগুলোর আগুন নেভানোর ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চেয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে হাসপাতালগুলোকে শিগগিরই অগ্নি মহড়া আয়োজনেরও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

Advertisement

৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

হাসপাতালের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার পরিস্থিতি কেমন। এ ছাড়া গত সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী হাসপাতালগুলোর অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছে।

এ ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে- জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা সব হাসপাতালে একটা নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছি, যদি অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটে সেটাকে মোকাবেলা করার জন্য কী পদেক্ষপ নেবেন। এ ছাড়া আমরা কয়েকটি জিনিস বলেছি, ইমিডিয়েট অগ্নি মহড়া করবে। যেসব যন্ত্রপাতি রয়েছে, সেগুলো পরীক্ষার জন্য বলেছি। যেগুলো সচল নয় সেগুলো লাগিয়ে দেয়ার জন্য বলেছি। নতুন ফায়ার ইস্টিংগুইশার দেব আমরা।’

Advertisement

তিনি বলেন, ‘আমরা একটা বড় পরিকল্পনা নিয়েছি, তবে এটায় সময় লাগবে। সব হাসপাতালে আধুনিক ব্যবস্থা হিসেবে ফায়ার অ্যালার্ম, ধোঁয়া শনাক্তকরণ যন্ত্র সব হাসপাতালে এসব স্থাপন করা হবে।’

সরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা কর্ণার খোলা হবে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘শহরেও তো দরিদ্র জনগোষ্ঠী আছে। তাদের স্বাস্থ্য সেবা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন দিয়ে থাকে। আমরা চিন্তা করেছি, হাসপাতালগুলোতে একটা ছোট্ট কর্ণার করার পরিকল্পনা আছে। প্রাইমারি হেলথ কেয়ার দেয়া হবে। আমরা বিভিন্ন কর্ণার তৈরি করেছি, মা ও শিশুদের জন্য অটিস্টিক, শিশুদের জন্য প্রাইমারি হেলথ কেয়ারের জন্য একটি ডেডিকেটেড কর্ণার আমরা করতে চাই। যাতে ছোট অসুখ-বিসুখের জন্য ওখানে তারা প্রাইমারি হেলথ কেয়ারটা পাবেন। এর মাধ্যমেই আমরা সমতা সৃষ্টি করতে চাচ্ছি।’

সরকারি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডে (ইডিসিএল) একটি নতুন প্ল্যান্ট তৈরি করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সেখানে ওষুধ তৈরি হবে। ওষুধের অভাব এখনও নেই, তখন সক্ষমতা আরও বাড়বে। ৭০০ কোটি টাকার এটা শুরু হয়ে গেছে। সেখানে টিবি ড্রাগ (যক্ষ্মার ওষুধ) তৈরির পরিকল্পনা আমরা হাতে নিয়েছি। টিবি ড্রাগ আমাদের দেশে তৈরি হয় না। কেউ করতেও চায় না। এটা ইম্পোর্ট করে আনতে হয়।’

‘টিবি ড্রাগটা এখন বাংলাদেশেই তৈরি হবে ইডিসিএলের মাধ্যমে। এই নির্দেশনা অলরেডি দিয়ে দিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘যেসব কোম্পানি ভালো ওষুধ তৈরি করতে পারছে না, ব্যবস্থাপনা নেই। এমন প্রতিষ্ঠান আমরা আগে বন্ধ করেছি, যারা নিয়ম ফলো করছে না এগুলো আমরা বন্ধ করে দেব।’

Advertisement

অসংক্রামক ব্যাধি বেড়ে যাচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে প্রায় ৬৫ শতাংশ লোক অসংক্রামক ব্যাধিতে মারা যায়। এর মধ্যে ক্যান্সার রয়েছে, স্ট্রোক রয়েছে, হার্ট অ্যাটাক রয়েছে, কিডনি ফেইলর রয়েছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে সড়ক দুর্ঘটনা ও অগ্নিকাণ্ড। বিভিন্ন জায়গায় আগুনে পুড়ে লোক মারা যাচ্ছে। আমাদের সেবা দেয়ার ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস রোববার

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালিত হবে। দিবসে এবারের নির্বাচিত বিষয় ‘ইউনিভার্সল হেলথ কাভারেজ (ইউএইচসি) ফর প্রাইমারি হেলথ কেয়ার উইথ এ ফোকাস অন ইকুইটি অ্যান্ড’ যার ভাবানুবাদ করা হয়েছে- সমতা ও সংহতি নির্ভর সার্বজনীন প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, র‌্যালি, সেমিনার আয়োজন করা হবে। জাতীয় পর্যায়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে রোববার সকাল সোয়া ১০টায় ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে।’

আরএমএম/এমআরএম/জেআইএম