রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে বিক্রির চেষ্টাকালে এক কিশোরীকে (১৫) উদ্ধার করেছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ। এ সময় বিক্রির চেষ্টাকারী মিজানুর রহমান ওরফে জিয়ারুল ইসলামকে (৩৬) আটক করেছে পুলিশ।
Advertisement
বুধবার দিবাগত রাতে দৌলতদিয়ার যৌনপল্লী এলাকার ১নং গেটের পাশে কুষ্টিয়া-চুয়াডাঙ্গা বোডিংয়ের সামনে থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার ও বিক্রির চেষ্টাকারীকে আটক করা হয়। আটক মিজানুর রহমান ওরফে জিয়ারুল ইসলাম রাজশাহীর বাঘা উপজেলার লক্ষীনগর গ্রামের তফিল উদ্দিন গারোয়ানের ছেলে।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, একমাস আগে মিজানুর রহমানের সঙ্গে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক হয় উদ্ধার হওয়া ওই কিশোরীর। প্রেমের সুবাদে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই কিশোরীকে নিয়ে গতকাল ঢাকার আশুলিয়া থেকে বাসযোগে দৌলতদিয়া ট্রাক টার্মিনালে আসে মিজানুর। পরে রাতে দৌলতদিয়ার যৌনপল্লী এলাকার ১নং গেটের পাশে কুষ্টিয়া-চুয়াডাঙ্গা বোডিংয়ের সামনে কিশোরীকে বিক্রির জন্য দর দাম শুরু করে।
গোপন খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে ওই কিশোরীকে উদ্ধার ও মিজানুর রহমানকে আটক করে। এ সময় আরও ২/৩ জন পালিয়ে যায়। আটকের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা রয়েছে।
Advertisement
গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের ওসি মো. এজাজ শফী ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় আরও ২/৩ জন জড়িত আছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। আসামি মিজানুরকে গ্রেফতার দেখিয়ে রাজবাড়ী আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
রুবেলুর রহমান/এফএ/জেআইএম