নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলার হাওরের মোহনগঞ্জ-গাগলাজুর ১৬ কিলোমিটার জিসি রাস্তাটির প্রায় ৭ কিলোমিটার রাস্তা ভাঙতে ভাঙতে এখন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। রাস্তাটির বড় বড় অসংখ্য গর্ত রীতিমতো মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।
Advertisement
উপজেলার মোহনগঞ্জ-গাগলাজুর সড়কের জিসি উন্নয়ন প্রকল্পের রাস্তাটি সংস্কারের কাজ ২০১৭ সালে শুরু হয়ে সর্বশেষ একমাস আগে শেষ হয়েছে। প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে রাস্তাটির সংস্কারের কাজ শেষ হলেও সেখানে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
এরই মাঝে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে তেতুলিয়া-গাগলাজুর পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার রাস্তা। বিভিন্ন স্থানে ভেঙে যাওয়ায় আসন্ন বোরো মৌসুমে হাওরে উৎপাদিত ফসল এ রাস্তা দিয়ে যথাসময়ে ঘরে তোলা বা বাজারে নিয়ে যেতে পারবেন কিনা এ নিয়ে চিন্তিত চাষিরা। সরকারের বিপুল টাকা ব্যয়ে রাস্তাটি নির্মিত হলেও কাজে আসছে না স্থানীয়দের। তাই অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবি করেছেন স্থানীয় ভুক্তভোগীরা।
এমনকি সড়কের এ অবস্থার কারণে ক্ষুদ্ধ এলাকার জনপ্রতিনিধিরাও। বারবার নিম্নমানের কাজের ব্যাপারে বাধা দিয়েও কোনো প্রতিকার হয়নি বলে জানিয়েছেন গাগলাজুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব।
Advertisement
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কটির অনেক স্থানে আরসিসি ঢালাইয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ঢালাই করা কংক্রিট থেকে বালু, পাথর ও রড বেরিয়ে পড়েছে। রাস্তায় চলাচলকারী ছোট ছোট যানবাহনও গর্তে আটকে যাচ্ছে। এতে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে চলাচলকারীরা।
মোহনগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী মাহমুদ আকন্দ জানান, তিনি রাস্তাটির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগ এলজিইডিকে চিঠি দিয়েছেন এবং তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন।
তবে নেত্রকোণা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান জানান, অতিরিক্ত মালামাল নিয়ে যানবাহন চলাচলের কারণে রাস্তার এ অবস্থা হয়েছে। কাজের গুণগত মানের কোনো ত্রুটি ছিল না। তারপরও নিয়োগপ্রাপ্ত ঠিকাদারকে এখনো চূড়ান্ত বিল দেয়া হয়নি। আপাতত চলাচল উপযোগী করার জন্য ঠিকাদারের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে।
কামাল হোসাইন/এফএ/জেআইএম
Advertisement