মহাসাগরে বাড়তে থাকা চীনের প্রভাব নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ২৪টি অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার কিনছে ভারত। এই হেলিকপ্টারের সাহায্যে মহাসমুদ্রে লুকিয়ে থাকা শত্রু ডুবোজাহাজ বা সাবমেরিন আরও নির্ভুলভাবে ধ্বংস করা যাবে।
Advertisement
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ভারতের কাছে হেলিকপ্টারগুলো বিক্রি করতে যুক্তরাষ্ট্র সম্মতি জানিয়েছে। এর পোশাকি নাম এমএইচ- ৬০। তবে সামরিক দুনিয়ায় এ হেলকিপ্টার ‘রোমিও’ নামেই পরিচিত।২৪টি হেলিকপ্টার কিনতে ১৭ হাজার ৮০০ কোটি টাকা খরচ পড়বে ভারতের।
সমুদ্রের তলায় লুকিয়ে থাকা সাবমেরিন ধ্বংসের জন্যই নয়, পাশাপাশি শত্রু যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস করা এবং সমুদ্রের বুকে তল্লাশি ও উদ্ধারকার্য চালাতেও অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে রোমিও।
গত বছরে রোমিও কিনতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরে প্রস্তাব দেয় ভারত। কারণ, লক-হিড মার্টিন নামের একটি মার্কিন সামরিক সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক সংস্থা এই হেলিকপ্টার বানালেও, তা কিনতে যুক্তরাষ্ট্রের সম্মতি লাগে। গত বছরেই মার্কিন কংগ্রেসের কাছে ভারতের প্রস্তাব পাঠায় দেশটির পররাষ্ট্র দফতর।
Advertisement
সেখান থেকে জানানো হয়, ‘এই হেলিকপ্টার বিক্রি করা হলে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আমাদের এক সহযোগিতা আরও শক্তিশালী হবে। ভারত-যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত সহযোগিতার ক্ষেত্রও আরও প্রসারিত হবে।’
সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ঠাণ্ডা যুদ্ধ এবং তার পরবর্তী সময়ে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে শীতলতাই ছিল বেশি। কিন্তু ইসলামিক সন্ত্রাসবাদের উত্থান এবং ভারত মহাসাগরে চীনের বাড়তে থাকা সামরিক এবং বাণিজ্যিক প্রভাবের কারণে, গত কয়েক বছরে পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গেছে। পাকিস্তানের সঙ্গে চীনের বাড়তে থাকা আর্থিক সম্পর্কও নয়াদিল্লি আর ওয়াশিংটনকে কাছাকাছি আনছে। ভারতকে রোমিও বিমান বিক্রিতে সম্মতি দেয়ায় ব্যবসার পাশাপাশি কৌশলগত বিষয়টিও জড়িত।
ভারতের কাছে থাকা পুরনো আমলের সি-কিং হেলিকপ্টারের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী রোমিও। এগুলো হাতে পেলে ভারতীয় নৌসেনা আরও বেশি শক্তিশালী হবে। ভারত মহাসাগরে লুকিয়ে সাবমেরিন পাঠানো চীনের কাছে অতোটা আর সহজ হবে না।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
Advertisement
এমএসএইচ/জেআইএম