খেলাধুলা

ম্যানকাড বিতর্কে মুখ খুললেন বাটলার

গত মঙ্গলবার কিংস এলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে ম্যাচে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের করা ‘ম্যানকাড’ আউটের শিকার হন রাজস্থান রয়্যালসের ব্যাটসম্যান জশ বাটলার। গত এক সপ্তাহে এ বিষয়ে পক্ষে-বিপক্ষে অনেক কথাই বলেছেন অনেক। তবে সে অর্থে বিশেষ কিছু বলেননি ঘটনার শিকার তথা মূল চরিত্রের একজন বাটলার।

Advertisement

অবশেষে প্রায় ৯ দিন পর এ বিষয়ে মুখ খুললেন বাটলার। যেখানে তিনি দোষারোপ করছেন মূলত আম্পায়ারদের, যারা কি-না ভুল সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন। ইংলিশ এ ব্যাটসম্যানের মতে নিয়মানুযায়ী ম্যানকাড আউট করা জায়েজ হলেও, অশ্বিন সে ডেলিভারির করার ক্ষেত্রে ইচ্ছে করেই বেশি সময় ব্যয় করেছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বাটলার বলেন, ‘অবশ্যই নিয়মের মধ্যে ম্যানকাড আউট থাকতে হবে। কারণ একজন ব্যাটসম্যান আগেই পিচের মাঝে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না। তবে আমি মনে করি নিয়মে যেটা লেখা আছে, বোলার বল ছাড়ার মুহূর্ত- এ বিষয়টা খানিক ঘোলাটে। এ বিষয়টা আরও স্পষ্ট হওয়া উচিৎ।’

ম্যানকাডের বর্তমান নিয়মানুযায়ী বোলার যখন বোলিংয়ের জন্য পপিং ক্রিজের মধ্যে আসেন, তখন তিনি হাত ঘোরানোর আগে তথা বল ছাড়ার মুহূর্তের আগেই যদি ব্যাটসম্যান দাগের বাইরে বেরিয়ে যান তাহলে বোলার চাইলে রান আউট করতে পারেন। এ আইনের সুবিধা নিয়েই বাটলারকে ফেরান অশ্বিন।

Advertisement

বোলারের বল ছাড়ার মুহূর্তটাই মূলত এখানে বিতর্কের সৃষ্টি করে। কারণ মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) এর পক্ষ থেকে এক আনুষ্ঠানিক বার্তায়ও বলা হয়, ‘এমসিসি মনে করছে অশ্বিন ইচ্ছে করেই বেশি সময় ব্যয় করেছে। যা ক্রিকেটীয় চেতনার পরিপন্থী।’

তবে এ বিষয়টিতে ক্রিকেটীয় চেতনার আতশি কাচে ফেলতে চান না বাটলার। তার মতে ক্রিকেটীয় চেতনার বিষয়টি একেকজনের কাছে একেকরকম। তবে তার মতে অশ্বিন যখন বল ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তখন পপিং ক্রিজেই ছিলেন তিনি। বাটলার বলেন, ‘আপনি যদি ভিডিও ফুটেজ দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন যে আউটের সিদ্ধান্তটা ভুল ছিলো। কারণ অশ্বিন যখন বল ছাড়ার মুহূর্তে ছিলেন, তখন আমি আমার ক্রিজেই ছিলাম।’

টুর্নামেন্টের শুরুতেই এমন ঘটনাকে হতাশাজনক হিসেবে উল্লেখ করে বাটলার বলেন, ‘তাৎক্ষণিকভাবে এমন ঘটনায় আমি পুরোপুরি হতবাক হয়ে পড়ি। আউটের এমন ধরণটা আমার ভালো লাগেনি। আমার মনে হয়েছে টুর্নামেন্টের শুরুতে এমন উদাহরণ খুবই বাজে নজির হয়ে থাকবে। তাই তখন যা হয়েছে তা আমার ভালো লাগেনি এবং আমি সেটি মেনেও নেইনি। কিন্তু তখন আমার কিছুই করার ছিলো না। পরদিন আমি বিষয়টা নিয়ে ভাবলাম এবং ঠিক করলাম যে একই ঘটনা আবার ঘটতে দেয়া যাবে না।’

সে ম্যাচে ৪৩ বলে ৬৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছিলেন বাটলার। তার দলও ছিলো জয়ের পথে। কিন্তু ম্যানকাড হয়ে সাজঘরে ফেরার পর আর জয় পায়নি রাজস্থান। বাটলার নিজেও ঢুকে পড়েন ব্যর্থতার বৃত্তে। পরের দুই ম্যাচে আউট হন ৫ ও ৬ রান করে। তবে সবশেষ ম্যাচে আবার ৫৯ রানের ইনিংস এসেছে তার ব্যাট থেকে।

Advertisement

ম্যানকাড বিষয়ে বেশি সতর্কতা দেখানোর কারণেই ব্যাটিংয়ে মনোযোগী হতে পারেননি বাটলার। তিনি বলেন, ‘সেই ম্যানকাডের চেয়েও বেশি হতাশাজনক ছিলো পরের দুইটি ম্যাচ। আমি তখন ম্যানকাড থেকে সতর্ক থাকতে গিয়ে মনোযোগ ধরে রাখত পারছিলাম না। এটা খুবই অস্বাভাবিক যে আপনি ম্যানকাড নিয়েও আলাদা করে চিন্তা করছেন।’

এসএএস/জেআইএম