অরুণাচলের পাসিঘাটে বৃহস্পতিবার সকালে সভা করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর কয়েক ঘণ্টা আগে মাঝরাতে সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডুর কনভয় তল্লাশি করে নগদ প্রায় দু’কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
Advertisement
মোদির সভা শুরুর আগেই পুরো ঘটনাটি তুলে ধরে কংগ্রেস বলছে ‘চৌকিদারই চোর’। টাকা দিয়ে ভোট কেনার সব থেকে বড় ঘটনা এটি। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে নির্বাচন কমিশনকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
তিনটি গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকার বেশি উদ্ধার ধরেন দুই নারী কর্মকর্তা। এদের মধ্যে একজন নির্বাচন কমিশনের খরচের উপর নজরদারি করা পর্যবেক্ষক সমৃতা কৌর গিল। অন্যজন পাসিঘাটের জেলাশাসক কিন্নি সিং।
ফ্লাইং স্কোয়াড, পুলিশ ও কমিশনের পর্যবেক্ষকরা সিয়াং অতিথিশালায় মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডুর কনভয়ের গাড়িগুলোতে তল্লাশি করে। অতিথিশালায় মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু নিজেও সে সময় উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি দিল্লির নজরে এনে কংগ্রেসের রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বলেন, নরেন্দ্র মোদি ও পেমা খান্ডুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত কমিশনের।
Advertisement
রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী, প্রদেশের সভাপতি ও এবারের প্রার্থী তাপির গাওয়ের কনভয়ের গাড়িতে মোদির সভার জন্যই টাকা আনা হচ্ছিল। পেমা পদত্যাগ করুন এবং দুই প্রার্থীকে অযোগ্য ঘোষণা করুক কমিশন।
তবে পেমা খান্ডু বলেন, এক প্রার্থীর গাড়িতে টাকা পাওয়া গেছে। এই দায়িত্ব তার। টাকার ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। প্রদেশের সভাপতি বিষয়টি দেখছেন। আর প্রদেশের সভাপতি গাও বলছেন, টাকার উৎস প্রার্থী বলতে পারবেন। হারের ভয়ে কংগ্রেস তাদের হেনস্থার চেষ্টা করছে।
আসলে যুব কংগ্রেসের দেওয়া খবরের ভিত্তিতেই ওই গাড়িগুলোতে তল্লাশি করা হয়। আর মেবো বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী ডেংগি প্রেমে বলেন, টাকা তার ছেলের। তিনিই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। কমিশনের নোটিসও গিয়েছে ডেংগির কাছে।
টিটিএন/জেআইএম
Advertisement