দেশজুড়ে

কাগতিয়া শরীফে মিরাজুন্নবী ও সালানা ওরছ পাকে মুসল্লিদের ঢল

পবিত্র মিরাজুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাহফিল ও সালানা ওরছে হযরত গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু উপলক্ষে অনুষ্ঠিত ঈছালে ছাওয়াব মাহফিলে চট্টগ্রাম কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের চারপাশ লোকে লোকারণ্য হয়ে গেছে। কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। মাহফিল রূপ নিয়েছে মুসল্লিদের জনস্রোতে।

Advertisement

বুধবার (৩ এপ্রিল) ফজর নামাজের পর থেকেই টুপি ও তসবিহ হাতে কেউ পায়ে হেঁটে, কেউবা গাড়িযোগে আসতে শুরু করেন। এ মনীষীর লাখো অনুসারী, ভক্ত, আলেম, হাফেজ, যুবক, এলাকাবাসী থেকে শুরু করে সর্বস্তরের ধর্মপরায়ণ মুসলমানদের উপস্থিতিতে কাগতিয়া শরীফসহ আশপাশের এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে আছে।

বর্তমানে মোর্শেদে আজম মাদ্দাজিল্লুহুল আলী ছাহেবের তাকরির চলতেছে। এরপর মিলাদ-কিয়াম, মোনাজাত ও দরুদে মোস্তফা আদায়। আখিরুল লাইল নামাজে তাহাজ্জুদ, জিকরে জলী, দরুদ শরীফ ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।

এতে বাদে নামাজে ফজর থেকে খতম শরীফ, মোরাকাবা, ঈছালে ছাওয়াব, রওজা জেয়ারত, মিলাদ-কিয়াম, খতমে কোরআন ও বুখারী শরীফের মধ্য দিয়ে মাহফিল শুরু হয়। মাহফিল বৃহস্পতিবার বাদে ফজর আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে।

Advertisement

চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি কিংবা চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক হয়ে রাউজান-নোয়াপাড়া সড়কের সর্বত্রই চোখে পড়ে বর্ণিল সাজসজ্জা। এই সড়ক দিয়ে যারা নিয়মিত চলাচল করেন তারা কয়েকদিন ধরেই মনোরম সৌন্দর্যে বিমোহিত হচ্ছেন। শুধু এই সড়কগুলোই নয় বৃহত্তর চট্টগ্রামের সর্বত্রই যেন বর্ণিল সাজে সজ্জিত করা হয়েছে। চট্টগ্রাম ছাড়াও রাজধানীর বুকেও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে শোভা পাচ্ছে বিশাল সাইজের বিলবোর্ড, ব্যানার আর ফেস্টুন। বর্ণিল সাজসজ্জায় দৃষ্টিনন্দন দেখাচ্ছে পুরো চট্টগ্রাম।

গত কয়েকদিন ধরে চট্টগ্রাম নগরী ও রাউজানসহ আশপাশের উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে, গাউছুল আজমের (রা.) পবিত্র সালানা ওরছে পাক উপলক্ষে বর্ণিল সাজসজ্জায় সজ্জিত করা হচ্ছে সড়কের আশপাশ। সড়ক-মহাসড়কে শোভা পাচ্ছে কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের মনোগ্রাম ও গাউছুল আজমের (রা.) বাণীসম্বলিত দৃষ্টিনন্দন তোরণ। বাহারী সাজসজ্জায় সন্ধ্যার পর তোরণগুলো যেন সুন্নিপ্রেমী জনতার হৃদয়ে সৃষ্টি করছে এক অন্যরকম আবহ।

বাদে নামাজে আছর তরিক্বতের বিশেষ পদ্ধতিতে ফয়েজে কোরআনের মাধ্যমে নূরে কোরআন বিতরণ ও বাদে নামাজে মাগরিব- ফাতেহা শরীফ আদায় ও ঈছালে ছওয়াব, মোরাকাবা, সিনা-ব-সিনা তাওয়াজ্জুহর মাধ্যমে হুজুর পাকের (দ.) বাতেনী নূর বিতরণ, জিকিরে গাউছুল আজম মোর্শেদী অনুষ্ঠিত হয়।

বিএ

Advertisement