আন্তর্জাতিক

বায়ু দূষণে ২০ মাস কমে যাবে গড় আয়ু

আজ যে শিশুটি জন্ম নেবে সে ২০ মাস কম বাঁচবে। আর শিশুদের এই গড় আয়ু কমার কারণ দূষিত তথা বিষাক্ত বাতাস। দূষিত বাতাসের কারণে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার পরিস্থিতি খারাপ। ভারত ও পাকিস্তানের অবস্থা তো সবচেয়ে নাজুক। সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী বায়ু দূষণ নিয়ে কাজ করা একটি প্রতিষ্ঠানের গবেষণা এ তথ্য জানানো হয়েছে।

Advertisement

বিশ্বব্যাপী বায়ু দূষণ নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘স্টেট অব গ্লোবাল এয়ার ২০১৯’ (এসওজিএ) সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এই পূর্বাভাস দিয়েছে। তাদের গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৭ সালে প্রতি দশ জন মানুষের মধ্যে একজনের মৃত্যুর কারণ বায়ু দূষণ। যা পেছনে ফেলেছে ম্যালেরিয়া ও সড়ক দুর্ঘটনা ও মাদকের কারণে মৃতের সংখ্যাকে।

ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এসওজিএ বুধবার তাদের প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে। বৈশ্বিক হিসাবে বায়ু দূষণে শিশুদের গড় আয়ু ২০ মাস কম হলেও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে তা ৩০ মাস। কারণ, এসব দেশে যানবাহন, শিল্প-কারখানাসহ কয়লার মত জ্বালানিসহ রান্নার কাজে ব্যবহৃত জ্বালানি থেকে সৃষ্ট দূষণও মানুষের আয়ু কমিয়ে দিতে পারে।

আফ্রিকার দেশগুলোতেও বায়ু দূষণে শিশুদের আয়ু ২৪ মাস কম হবে জানিয়েছে তারা। তবে পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো ২৩ মাস নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার চেয়ে কম হলেও বৈশ্বিক গড়ের চেয়ে তিন মাস কম হবে শিশুদের আয়ু। তবে উন্নত দেশগুলোতে শিশুদের প্রত্যাশিত এই আয়ু পাঁচ মাসের চেয়ে কমে যাবে।

Advertisement

আরও পড়ুন>> এবার জনসন বেবি শ্যাম্পুতে ক্যান্সারের উপাদান!

এসওজিএ থেকে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বে বায়ু দূষণের কারণে সৃষ্ট ফুসফুসজনিত জটিলতায় মারা যায় ৪১ শতাংশ মানুষ। এ ছাড়া টাইপ টু ডায়াবেটিসে ২০ শতাংশ, ফুসফুস ক্যান্সারে ১৯ শতাংশ, হৃদরোগে ভুগে ১৬ শতাংশ এবং স্ট্রোকের কারণে ১১ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয়।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক গবেষণা প্রতিষ্ঠান হেলথ ইফেক্টস ইনস্টিটিউটের ভাইস প্রেসিডেন্ট রবার্ট ও কিফে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন। তিনি বলেন, ‘শিশুদের প্রত্যাশিত গড় আয়ু প্রতিনিয়ত কমে যাচ্ছে যা আমাদের জন্য সত্যিই উদ্বেগজনক। হয়তো সমস্যা সমাধানে কোনো ম্যাজিক বুলেট নেই কিন্তু সরকারের জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেয়া উচিত।’

এসএ/পিআর

Advertisement