ক্যাম্পাস

জাবিতে মারের বদলে মার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শেখ শাহরিয়ার পারভেজ শাওন নামে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের বদলে মারধর করেছেন এসএইচ পিয়াসের নেতৃত্বে আরেকদল শিক্ষার্থী।

Advertisement

মারধরের শিকার শিক্ষার্থীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের সামনে একই ব্যাচের ২০-২৫ জন শিক্ষার্থী মিলে ওই শিক্ষার্থীকে মারধর করেন।

মারধরের নেতৃত্ব দেয়া শিক্ষার্থী এসএইচ পিয়াস বলেন, শাহরিয়ার আমাদের বিভাগে এসে কাউকে খুঁজতেছিল। তখন আমি তাকে জিজ্ঞেস করি কাউকে খুঁজছে কিনা। এ সময় আমাকে সালাম দেয় শাহরিয়ার। তখন আমি তার পরিচয় জানতে চাই। কিন্তু পরিচয় না দিয়ে চলে যায় শাহরিয়ার। সোমবার আমাকে টিএসসিতে দেখে সেখান থেকে শাহরিয়ারসহ আরও কয়েকজন আমাকে ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরির সামনে নিয়ে ব্যাপক মারধর করে। বিষয়টি আমার হলের বড় ভাইদের জানালে তারা বলে মারের বদলে মার হবে। যার প্রেক্ষিতে আজ আমরা ২০-২৫ জন তাকে নতুন কলা ভবনের সামনে পেয়ে মারধর করেছি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে ক্লাস শেষ করে নতুন কলা ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন শাহরিয়ার পারভেজ। এ সময় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এসএইচ পিয়াস, সাকলাইন সাকিব, মিশাত, বাংলা বিভাগের সমরেশ ও ইমরানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের ২০-২৫ জন শিক্ষার্থী অতর্কিত তার ওপর হামলা করেন। এত আহত হন শাহরিয়ার পারভেজ। দর্শন বিভাগের কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষার্থী তাদেরকে নিষেধ করলেও শোনেননি। পরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

Advertisement

মারধরের শিকার শাহরিয়ার পারভেজ বলেন, সোমবার সকালে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যাই আমি। বন্ধুকে বিভাগে না পেয়ে সেখান থেকে ফিরে আসছিলাম। এ সময় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এসএইচ পিয়াস আমাকে পেছন থেকে ডেকে পরিচয় দিতে বলেন। পিয়াস নিজেকে ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী পরিচয় দিয়ে আমাকে পরিচয় দেয়ার জন্য জোর করেন। আমার শার্টের কলার ধরে মারতে আসে। পরে তার কথা না শুনে ঘটনাস্থল ত্যাগ করি আমি। সেই ঘটনার জের ধরে আজ আমাকে মারধর করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তাৎক্ষণিকভাবে সহকারী প্রক্টরকে পাঠিয়ে আহত শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নেয়ার ব্যবস্থা করেছি। আগে যদি পিয়াসকে মারধর করে থাকে তাহলে তারা আমাদেরকে জানাতে পারতো। তা না করে নিজেরাই মারধর করে অপরাধ করেছে। আমরা ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।

হাফিজুর রহমান/এএম/পিআর

Advertisement